কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার বিরুদ্ধে তৃনমূলের জমির অভিযোগের পালটা আক্রমণের প্রুস্তুত বিজেপি

বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, বানারহাট, ১৪ই জুলাই, ২০২১: সাংসদ তথা মন্ত্রী জন বার্লার বানারহাটে চামুর্চী মোড়ের কাছে নির্মিয়মান একটি ভবন বর্তমানে আলোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। তৃনমূলের পক্ষ থেকে এই ভবনটি নির্মান অবৈধ ও জমি দখলকৃত বলে দাবী করা হয়েছে। পালটা বানারহাটের বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন বানারহাটে বেশিরভাগ জমির মালিকানা সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই, জমিগুলি হয় চা বাগানের অথবা দখলকৃত। তাই এই ভবনটি অবৈধ ভাবে হয়ে থাকলে সড়কের পাশে সমস্ত জমির দখলদারদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহন করুক রাজ্য সরকার।

আলিপুরদুয়ারে সাংসদ জন বার্লা কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। এর পরেই তার বানারহাটে ভারত-ভুটান সড়কের পাশে নির্মিয়মান ভবনটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে।ভবনটি যে রাস্তার পাশে রয়েছে বর্তমানে সেটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্র সরকারের অধিনস্থ সংস্থা বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিজেপির আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন জেলাসভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা এই ভবনটি নির্মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষাণ কল্যানীও সরকারি জমি অবৈধ ভাবে দখল করে তাতে নির্মাণ করার অভিযোগ জেলাশাসকের কাছে করেছেন। জন বার্লা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও বিজেপির স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ভবন নির্মানের জমিটি প্রায় ১০ বছর ধরে বার্লার দখলে রয়েছে। ওই জমিতে মহিলাদের স্বনির্ভর করার একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। পাশাপাশি ভবনটির নিচের তলায় বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয় এবং মন্ত্রী হওয়ার পর এই ভবনেই দপ্তরের একটি অফিস করার পরিকল্পনা করেছেন সাংসদ।

বানারহাট ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি নয়ন দত্ত এদিন অভিযোগ করে বলেন জন বার্লা সাংসদ হয়ে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দখলকৃত জমির ওপর নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। তিনি বলেন ওই জমিটি রাজ্যসরকারের, তাই একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও জমি-মাফিয়াদের মতোও সরকারি জমি দখল করে নির্মানকাজ করে জন অত্যন্ত অন্যায় করছেন।

বিজেপির ধূপগুড়ি উত্তর পশ্চিম মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক তথা বার্লা ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা সন্তোষ প্রসাদ বলেন বানারহাট এলাকার অধিকাংশ ঘরবাড়িই খাস জমিতে অবস্থিত। চা বলয়ের শতকরা ৯০ ভাগ জমির বৈধ কাগজপত্র নেই। চা বাগান এলাকায় বসবাসকারীদের জমির মালিকানা দেওয়ার দাবী তারা দীর্ঘদিন ধরেই করছেন। সন্তোষ বাবু বলেন গত ১০ বছরে এই জমিটির মালিকানা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠে নাই, কিন্তু বার্লা মন্ত্রী হতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন এই জমিটি ও নির্মিয়মান ভবন অবৈধ হয়ে থাকলে – এলাকার সমস্ত বৈধ কাগজপত্র বিহীন জমিতে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহন করা হোক।

ছবি: সংবাদচিত্র

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!