এবার ফালাকাটাতেও শুরু হল বিজেপি’র ধস: প্রথম কোপ পড়ল ভারতীয় মজদুর সংঘের ওপর
অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ফালাকাটা, ১৬ই জুন, ২০২১: এবার বিজেপিতে ভাঙ্গন শুরু হলো ফালাকাটা ব্লকে। আরএসএস পরিচালিত ভারতীয় মজদুর সংঘ তাদের সভাপতি – সম্পাদক কোষাধ্যক্ষ সহ ব্লকের পুরো কমিটির যোগদান করলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি তে। মঙ্গলবার বিকেলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক কার্যালয়ে এই যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ফালাকাটা ব্লক সভাপতি শ্রী সুভাষ রায় আইএনটিটিইউসি ফালাকাটা ব্লক সভাপতি শ্রী অশোক সাহা সহ ব্লক এর সকল নেতৃবৃন্দ। আরএসএস পরিচালিত ভারতীয় মজদুর সংঘের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি শ্রী চন্দন চক্রবর্তী সম্পাদক রতন সাহা কোষাধক্ষ্য শ্রী রবি শুক্লা সহ সকল নেতৃত্ব সহ পুরো ইউনিট যোগদান করলেন গতকালকের এই যোগদান কর্মসূচিতে।
যোগদান করে শ্রী রতন সাহা জানান “ভারতীয় মজদুর সংঘ প্রথমে বলা হয়েছিল এটি অরাজনৈতিক সংগঠন সেই জন্য আমরা এখানে যোগদান করেছিলাম কিন্তু নির্বাচনের সময় আমাদের বলা হয় যেন তেন প্রকারে বিজেপির প্রার্থীকে জেতাতে হবে। একটি অরাজনৈতিক সংগঠন কি করে একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করতে বলে এবং নির্বাচনে জেতার পর দেখা গেল বিজেপির কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন রয়েছে এটাই আমাদের আপত্তি। সংগঠন যেকোনো একটি থাকবে তারই ছাতার তলে সবাই মিলে কাজ করবে আমাদের এখানে আপত্তি এবং আমরা এখানে ঠিকঠাক মত কাজ করতে পারছিলাম না বলেই আজ আমরা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি তে যোগদান করলাম”।
আইএনটিটিইউসি ব্লক সভাপতি শ্রী অশোক সাহা বলেন এরা আমাদের কাছে আবেদন জানালে আমরা সেটা সাদরে গ্রহণ করি এবং আমাদের ব্লক ও জেলা নেতৃত্ব সঙ্গে আলোচনা করে এদেরকে আমাদের সংগঠনে নেবার জন্য দলের অনুমতিক্রমেই এদেরকে সংগঠনে নেওয়া হলো এবং এদেরকে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার দিয়েই এদেরকে দলের বিভিন্ন পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং আমরা আশাবাদী এনারা তৃণমূলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাবে”।
তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি শ্রী সুভাষ রায় বলেন আমাদের কাছে খুব শুভ আজকে শ্রমিক সংগঠন এলেন ধীরে ধীরে প্রায় সকলেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং তারা আগামী দিনে তৃণমূলে কংগ্রেসে যোগদান করবেন। তবে সবটাই দলের ওপর নির্ভর করছে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই আগামী দিনে যারা আবেদন করছেন এবং যারা যোগাযোগ করছেন তাদেরকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা এবং আলোচনা চলছে।
ছবি: অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই)