‘শিলিগুড়ির প্রশাসকেরা সমুদ্রের তীরে বালির প্রাসাদ বানানোর মত কাজ করছে’ – ডঃ শঙ্কর ঘোষ
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, শিলিগুড়ি, ১৫ই জুন, ২০২১: শিলিগুড়ির ২৪ নং ওয়ার্ড এবং ভিআইপি রোডের সংযোগকারী রেলওয়ে আন্ডারপাসের অবস্থা করুন হয়ে পড়ে আছে বছরের বছর। সারা বছর ধরে এই আন্ডারপাসের রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। বিভিন্ন জায়গায় গভীর গর্তের জন্যে যান চলাচলে প্রায় একেবারেই অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। উল্লেখ্য এই আন্ডারপাসের পাশেই রয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপো এবং এফসিআই এর বিশাল গুদাম। তাছারাও এই আন্ডারপাস হল এনজেপি ষ্টেশন এবং ইস্টার্ন বাইপাসের সংযোগকারী রাস্তা অর্থাৎ ভিআইপি রোডের গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দিন রাত এই আন্ডারপাস দিয়ে বহু ভারী ট্রাক, তেলের ট্যাঙ্কার, ডাম্পার, ছোট বাস, ট্রাক, পাহাড়ে যাওয়ার যান চলতেই থাকে। এই বছরেও বর্ষা শুরুর দিকেই দেখা যাচ্ছে এই আন্ডারপাসের হাল বেহাল হয়ে পড়েছে। গতকাল বৃষ্টির ফলে এই আন্ডারপাসে হাটুজল জমে যাওয়ায় প্রায় যাতায়াত কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। শিলিগুড়ির সব রেলওয়ে আন্ডারপাস রক্ষণাবেক্ষণ বর্তমানে এসজেডিএ’র অর্থাৎ শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্টের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এই নিয়ে নেটিজিয়ানরাও সরব হয়েছেন। এই আন্ডারপাসে হাটুজল জমা নিয়ে বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। এই বিষয় নিয়ে টিএনআই যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এসজেডিএ’র আধিকারিকদের সঙ্গে তবে কেউই ফোন ধরেননি অথবা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। শিলিগুড়ির সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক ডঃ শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টিএনআই কে জানান “বর্তমান প্রশাসক মণ্ডলী হচ্ছে এক প্রকার সমুদ্রের তীরে বালির প্রাসাদ বানাচ্ছে ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই দুরবস্থা গুলো তাদের চোখে পড়ছে না এবং তারা বিবৃতি দিয়ে তারা দায় সারছে। একজনও কোন আধিকারিক বা অন্যকেউ এই অবস্থা দেখতে তারা এখানে আসেনি। শিলিগুড়ির হকার্স কর্নারে এসজেডিএ কাজ করছে অথচ তারা এই সব আন্ডাপাসগুলির ব্যাপারে উদাসীন। এর থেকেই বোঝা যায় কোন এক রাজনৈতিক অভিসন্ধির শিকার হয়েছে এই সব সংস্থাগুলি কাজ করছে। আমি এসজেডিএ’র বর্তমান সিইও’র সঙ্গে এর মধ্যেই দেখা করে তাদের কে অবগত করবো এবং আরও এই ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবে ব্যাপারটা দেখবো”।
ছবি: সোশাল মিডিয়ায় ভাইরল ছবি