ভোট আসে যায় মুজনাই সেতুর নাই কোন খবর নাই কোন আশা – হতাশ ফালাকাটা
অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ফালাকাটা, ৬ই মার্চ, ২০২১: ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং তাঁদের প্রার্থীরা। তবে সমস্যার কিন্তু আর সমাধান হয় না। এমনি একটি জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন এলাকার মানুষ। তবে বছরের পর বছর মিলছে শুধু প্রতিশ্রুতি আর প্রতিশ্রুতি। ঘটনাটি ফালাকাটা ও মাদারিহাট ব্লকের সংযোগ রক্ষাকারী মুজনাই নদীর লক্ষ্মীতুল্লা ঘাটের। ১৯৯৩ সালে বিধ্বংসী বন্যায় উক্ত স্থানের পাঁকা সেতু ভেঙে যায়। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে বহু দাবিপত্র পেশ করা হলেও, সেতু নির্মাণে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি দুই ব্লকের কোন নেতা মন্ত্রী, ব্লক প্রশাসন থেকে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ কেউই। সেতু না থাকায় বর্ষাকালে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীদের। লক্ষ্মীতুল্লা ঘাটে মুজনাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ফালাকাটা ও মাদারি হাট দুই ব্লকের বাসিন্দারা একটি সভা করে লক্ষ্মীতুল্লা ঘাট সেতু নির্মাণ কমিটি গঠন করে। সেই সময় সাংবাদিকদের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন মুজনাইয়ের পাঁকা সেতু নির্মাণের জন্য প্ল্যান এস্টিমেট নবান্নে পাঠানো হয়েছে, অর্থ দপ্তরের অনুমোদন আসলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এবার সেই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করে এলাকার মানুষ। তবে কিছু দিন পরে ফের আশাহত হতে হবে ভাবতে পারেননি, এলাকাবাসীরা। অপেক্ষায় থাকতে থাকতে নির্ঘণ্ট বেজে গেলো বিধানসভা নির্বাচনের। নির্বাচনের প্রাক্কালে তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় এক প্রকার হতাশ এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী, বসির আহমেদদের বক্তব্য দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে দুই ব্লকের বামফ্রন্ট থেকে শুরু করে মাদারি হাটের বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা, ফালাকাটার বিধায়ক প্রয়াত অনিল অধিকারী থেকে শুরু করে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বাড়লা এমনকি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পর্যন্ত বারবার সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ অবধি সেতু নির্মাণ হয় নি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ভোট বিতরণী পেরিয়ে গেলে ক্ষমতায় যেই আসুক তাদের দীর্ঘদিনের এই দাবি পূরণ না হলে আগামীতে সর্বস্তরের মানুষ নিয়ে এলাকার স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দেন তারা।
ছবি ও ভিডিও: অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই)