উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত ‘লাল ঝামেলা’ তে তিব্র পানীয় জল সঙ্কট চলছে
অঙ্কিতা সেন (টি.এন.আই বানারহাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, নাগরাকাটা, ৬ই মার্চ, ২০২১: উত্তরবঙ্গের প্রসিদ্ধ পর্যটন স্থল ‘লাল ঝামেলা’ বস্তির বাসিন্দারা বিগত ছয় দিন ধরে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছেন। বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকায় স্বজলধারা প্রকল্পের পাম্প হাউসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়াতেই এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ভোটের আগে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করা না হলে, স্থানীয় বাসিন্দারা ভোট বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন। বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে গতকাল অর্থাৎ সোমবার দুপুরে লাল বস্তিতে এলেন নাগরাকাটার বিডিও বিপুল কুমার মন্ডল এবং জয়েন্ট বিডিও ডেনুকা রাই৷ তারা বলেন পি.এইচ.ই দপ্তরের সাথে কথা বলে গুরুত্বসহকারে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও এলাকার অকেজো কলগুলি এবং টিউবওয়েলগুলি দ্রুত মেরামত করার হবে বলে তিনি বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন। স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় ছেত্রী ও রণজিৎ ছেত্রী বলেন স্বজলধারা প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়৷ কিন্ত দীর্ঘ দিন ধরে এর বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়ে যাওয়ায়- পাম্প হাউসের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফলে গোটা গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিদ্যুতের বিল দেওয়ার আশ্বাস দিলেও, তা তিনি প্রদান করেন নি। এককালীন বিপুল পরিমান টাকা গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে সংগ্রহ করে বকেয়া বিল প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জল না পেয়ে বাধ্য হয়ে পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবীতে গতকাল তারা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। নাগরাকাটা বিডিও বিপুল কুমার মন্ডল জানান বকেয়া বিদ্যুতের বিল প্রদান করে বিদ্যুতের সংযোগ পুনস্থাপন করার ব্যবস্থা করার কথা তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেন। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়ে গেলেই জলের সমস্যা অনেকটাই মিটবে। এছাড়াও তিনি বলেন অকেজো টিউবওয়েলগুলি দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী মেনে স্বজল ধারা প্রকল্পের পরিবর্তে পি.এইচ.ই দপ্তরের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের বিষয়েও তিনি চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানান।
ছবি: অঙ্কিতা সেন (টি.এন.আই)