ফালাকাটায় দিনভর চিতা – মানুষের টানাপড়েন, জখম ৬: ধৃত চিতাবাঘ
অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ফালাকাটা, ৩১শে জানুয়ারি, ২০১৯: ফালাকাটায় সারাদিনের চেষ্ঠায় বনদপ্তরের কর্মীদের জালে ধরা পড়ল চিতাবাঘ। ফালাকাটার ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাইচেঙ্গা গ্রামের রাইচেঙ্গা স্কুল সংলগ্ন জগমোহন দাসের আলু খেতে চিতা বাঘ দেখে আতঙ্ক ছাড়াল এলাকাজুরে। এদিন সকালে আলু ক্ষেতে ওষুধ স্প্রে করতে গিয়ে দেখে একটি বিশালাকার চিতাবাঘ শুয়ে আছে দেখেই ভয়ে আতঙ্কে পালিয়ে আসে দুজন কৃষক। এই খবর জানাজানি হতেই বাঘ দেখতে ভিড় জমায় উৎসাহী মানুষ। চিতাবাঘের আতঙ্কে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় স্কুল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্তিত হয় ফালাকাটা থানার পুলিশ। এরপর আসে জলদাপাড়া সাউথ রেঞ্জের বনদপ্তরের কর্মীরা। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার চেষ্ঠা ঘুমপাড়ানির গুলি করে চিতাবাঘটিকে বেহুশ করে জাল দিয়ে ধরে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সারাদিনে চিতাবাঘের হামলায় জখম হয় ছয়জন। এদের মধ্যে একজন সিভিক ভলেনটিয়ার নাম সঞ্জয় বর্মণ, বাকিরা হলো গ্রামবাসী নাম নিবারণ দাস, মনোজিত মল্লিক, ফণী বর্মণ, নরোত্ত্বম মজুমদার, জজ্ঞু বর্মণ। প্রথম ব্যাগ্রদর্শী জগমোহন দাস বলেন, “রোজকার মতো ক্ষেতে অষুধ স্প্রে করতে ও ক্ষেত পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখি বিশালাকার একটি চিতাবাঘ শুয়ে আছে সেই দেখে সব কিছু ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে আসি ও গ্রামবাসীদের জানাই”। এরপর আসে পুলিশ ও বন দপ্তর। জলদাপাড়া সাউথ রেঞ্জের আধিকারিক পুলকেস গোস্বামী বলেন, “খবর পেয়েই আমরা চলে আসি চিতাবাঘটিকে ঘুমপাড়ানির গুলি দিয়ে বেহুশ করে ধরে নিয়ে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে এরপর দপ্তর সিধান্ত নেবেন”।
ছবি ও ভিডিও: অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই)