গত ৩০বছর পর প্রথমবার কমলাগাঁও সুজালী গ্রাম পঞ্চায়েতে জি আর বন্টন
দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, চোপড়া, ১৩ই জানুয়ারি, ২০১৯: গত ৩০বছর পর প্রথমবার চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের কমলাগাঁও সুজালী গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বাসিন্দাদের মধ্যে জি আর বন্টন হলো। জানা গিয়েছে, কমলাগাঁও সুজালী গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি তৃণমূলের আব্দুল হকের নেতৃত্বে এলাকা বিরোধীশূন্য হওয়ার পর থেকেই চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিগত তিন দশকের সব দিনের সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় শান্তির পাশাপাশি উন্নয়নের জোয়ার বইছে। অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হক পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত বাসিন্দাদের বিরোধিতা না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে অনুরোধ করেছেন। গত প্রায় ৩০ বছর ধরে কমলাগাঁও সুজালী গ্রাম পঞ্চায়েতে কখনো কংগ্রেস বা অধিকাংশ সময় সিপিএম ক্ষমতায় থাকলেও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের মধ্যে জি আর বন্টন হয়নি। যদিও বা কখনো ডিলাররা জি আর বিতরণ করেছে তাও সেটা বরাদ্দের অনেক কম বাসিন্দারা পেয়েছে বলে অভিযোগ। প্রথমবার পঞ্চায়েত থেকে জি আর পেয়ে খুশির মহল কমলাগাঁও সুজালী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও এখনও পর্যন্ত চোপড়া বিধানসভার কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই জি আর বিতরণের খবর নেই বলে জানা গিয়েছে। কমলাগাঁও সুজালী গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মোমিনা খাতুন, জাহেনুর বিবি’রা জানান, গত প্রায় ৩০ বছর ধরে আমরা পঞ্চায়েতের থেকে কোনও জি আর পাইনি। এবার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার পঞ্চায়েত থেকে আমরা ৭২ কিলো করে গম জি আর পেলাম। কমলাগাঁও সুজালী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নুরি বেগম বলেন, এর আগে পাঁচটা প্রধান চলে গেলেও কোনদিন পঞ্চায়েত থেকে জি আর বন্টন করা হয়নি। আমরা ক্ষমতায় আসার পরই সাধারণ মানুষের সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা তাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সেই মোতাবেক গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক বাসিন্দাদের ৭২ কিলো করে গম জি আর বন্টন করা হলো।
ছবি: দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)