‘জয়ী’ সেতুর আশায় রয়েছে হলদিবাড়ি ও মেখলীগঞ্জ তিস্তা পারের বাসিন্দারা
স্বপন রায় বীর (টি.এন.আই মেখলীগঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, মেখলীগঞ্জ, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০১৮: তিস্তা চড়, তিস্তাপার নিয়ে তৈরি হচ্ছে অনেক তথ্য চিত্র৷ বাদ পড়েনি দুই পারের বাসিন্দাদের নদী পারাপারের বাস্তব সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন ভাবে৷ ভারতের কুচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জ এবং হলদিবাড়ি এলাকা সংযোগকারী এই নির্মীয়মান ‘জয়ী’ সেতুর প্রতীক্ষায় রয়েছে তিস্তা পারের দুই পারের কয়েক হাজার মানুষ৷ জানা গেছে বর্তমানে ‘জয়ী’ সেতুর কাজ চলছে জোরকদমে। তিস্তা নদীর হলদিবাড়ির বেলতলি ঘাট থেকে মেখলীগঞ্জ শহর পর্যন্ত দুটি ভাগে তিস্তা নদীর উপর এই সেতু তৈরি হচ্ছে। সেতুটি নির্মাণ হলে তিস্তার এক পারে হলদিবাড়ির বক্সীগঞ্জ, এবং অন্য পারে মেখলীগঞ্জ। মেখলীগঞ্জ মানুষ একই বন্ধনে আবদ্ধ হবে। কুচবিহারের হলদিবাড়ির বেলতলি থেকে মেখলীগঞ্জের দূরত্ব সেতু না থাকার কারনে তৈরি হয়েছে ১১০ কিলোমিটারেরও বেশি। ‘জয়ী’ সেতু তৈরি হলে সেই দূরত্ব কমে আসবে মাত্র পাঁচ কিমিতে৷ হলদিবাড়ি শহর থেকে বেলতলির দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। আর বেলতলি থেকে মেখলীজঞ্জের দূরত্ব কমবেশী ছয় কিমি। মোট ১৫ কিমি দূরত্ব পেরোলেই যেখানে মেখলীগঞ্জ পৌঁছে যাওয়ার কথা সেখানে তিস্তার প্রতিকূল যাতায়াত ব্যবস্থার কারনে হলদিবাড়ির মানুষকে সড়ক পথে জলপাইগুড়ি হয়ে ১১০ কিমি রাস্তা বাসে যাতায়াত করতে হয়। মেখলীগঞ্জ শহরে মহকুমাশাসকের দপ্তর সহ নানা গুরত্বপূর্ণ দপ্তর থাকায় হলদিবাড়ির মানুষকে মেখলীগঞ্জ নিত্যদিন যেতে হয়। যার একমাত্র ভরসা নদী পথে নৌকা৷ জরুরি ভিত্তিক হলেও নৌকার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেকক্ষন৷ বর্ষার দিনে নদীতে জল বাড়লে বা বন্যায় হাতে প্রানের ঝুঁকি নিয়ে হতে হয় পারাপার৷ বর্ষাকালে তিস্তার জলপথ ভয়াল হয়ে ওঠে। ‘জয়ী’ সেতুর আশায় বর্তমানে দিন গুনছে তিস্তার দুই পারের বাসিন্দারা৷
ছবি: স্বপন রায় বীর (টি.এন.আই)