বেঁচে থাকার জন্যে মাথাভাঙ্গায় অটোরিকশা চালায় প্রতিবন্দি চঞ্চল

স্বপন রায় বীর (টি.এন.আই মেখলীগঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, মাথাভাঙ্গা, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০১৮: বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে তাঁর কর্মস্থলে যেতেই হয়৷ শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল হলেও নিরলস পরিশ্রম তাকে করতেই হবে৷ প্রতিবন্ধী চঞ্চলের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়৷ পা না থাকলেও নিজের এবং পরিবারকে দু মুঠো খাবার জোগাড় করার জন্য তাঁর নিরলস জীবন যাত্রা৷ শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে টপকে সে নেমে পড়েছে জীবন যুদ্ধে৷ কুচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গার পাঁচ নং ওয়ার্ডের অফিসপাড়ার প্রতিবন্ধী চঞ্চল বর্মন অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে৷ প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁর জীবনযুদ্ধ৷

প্রতিবন্ধী চঞ্চলের দুটো পা দিয়ে কোন কাজ করা অসাধ্য একটা পা নেই, আরেক পায়ে বসানো আছে স্টিল যা দিয়ে ঠিক ভাবে চলাফেরা করতে পারে না৷ স্টিলের লাঠির উপর ভর দিয়ে চলাফেরা করতে হয়৷ কিন্তু বৃদ্ধ মা এবং দুই সন্তান এর মুখে খাবার তুলে দিতে তাঁর ই নিরলস কর্মযজ্ঞ৷ প্রতিবন্ধী হয়েও বাধ্য হয়ে অটোরিকশা চালাচ্ছে বৃদ্ধ মা দুই ছেলের মুখে অন্য তুলে দিতে৷ জানা গেছে প্রতিবন্ধী চঞ্চল সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা পাননি, কিন্তু,তাঁর সরকারি ভাতা চালু হলেও সেটাও ঠিক মত পান না৷ চঞ্চলের দাবী  সরকারি সাহায্য পেলে হয় তো সে কিছু করতে পারবে৷ কৃত্রিম পা লাগিয়ে চলতে পারবে৷ তাই যদি সরকারি  সাহায্য পেলে সে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে, এমন আশা নিয়ে আছেন প্রতিবন্ধী চঞ্চল৷সুত্রে জানা গেছে ২০১৪ সালে রাস্তায়  একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে পিষে দেয়, তারপর থেকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ সেই সময় তার এক পা কাটা যায় আর অন্য পায়ে স্টিল লাগানো রয়েছে৷ কোন উপায় না দেখে বেঁচে থাকার তাগিদে সে অটোরিকশা চালাচ্ছে

ছবি: স্বপন রায় বীর (টি.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!