জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ রণক্ষেত্র চোপড়া থানার লক্ষীপুর
দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ইসলামপুর, ২রা ডিসেম্বর, ২০১৮: জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ রবিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চোপড়া থানার লক্ষীপুর। দু’পক্ষের তরফে এদিন ব্যাপক বোমাবাজি ও গোলাগুলির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে অনির্দিষ্টকালের ব্যবসা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি। জানা গিয়েছে, এদিন রাজনৈতিক মামলায় অভিযুক্ত থাকার কারণে চোপড়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের জেলা পরিষদ প্রার্থী মহম্মদ কাবুল ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী মহম্মদ হাসানের বাড়িতে ঢুকে পুলিশ তীব্র নোংরা ভাষায় গালাগালি করে তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এথেকেই তীব্র ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি জোট সমর্থকরা পুলিশের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। জোট সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশের গাড়ির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া সহ পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলি চালনার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনতার বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় ও শুন্যেও কয়েক রাউন্ড গুলি পুলিশ চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এদিনের ঘটনায় হতাহতের খবর কোনও পক্ষই সঠিকভাবে জানাতে পারেনি। এদিকে ব্যবসার সময় এলাকায় গন্ডগোল হওয়ার কারনে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় মার খাওয়া ব্যবসায়ীরাও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। লক্ষীপুর ব্যাবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি মহসিন আখতার বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে এই গন্ডগোলের পরিস্থিতিতে আমাদের ব্যবসা লাটে উঠতে চলেছে। ঘটনার জেরে আমরা অনির্দিষ্টকালের ব্যবসা বনধের ডাক দিয়েছি। উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ফারাজুল হক বলেন, এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ত্ব প্রশাসনের। সেই প্রশাসনই এলাকাকে অশান্ত করে রেখেছে। পঞ্চায়েত ভোট থেকে শাসকদল তৃণমূল এখন পুলিশ আমাদের দলীয় প্রার্থী নেতাদের বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে ভাঙচুর করে বিরোধীদের দমিয়ে রাখতে চাইছে। চোপড়া থানার আইসি গজমির বলেন, আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে, পুলিশও জখম হয়েছে, এই মুহূর্তে এর বেশি বলা সম্ভব নয়।
ছবি: দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)