আন্তঃরাজ্য বাইক চুরি চক্রের পর্দাফাঁস করলো গোয়ালপোখর পুলিশ

দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ইসলামপুর, ২৪শে অক্টোবর, ২০১৮: আন্তঃরাজ্য মোটর বাইক চুরি চক্রের পর্দাফাঁস করলো গোয়ালপোখর থানার পুলিশের বিশেষ টিম। মোটর বাইক চুরি ও ছিনতাইয়ের জেরে নাস্তানাবুদ গোয়ালপোখর থানার ওসি অভিজিৎ দত্তের কমান্ডিংয়ে তিন সাব-ইন্সপেক্টর সুজিত পাল, রেজাউল করিম ও শুভেন্দু মাহাতো সহ অভিজ্ঞ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে গঠিত বিশেষ টিম চলতি মাসের ১৮ অক্টোবর গড়রা এলাকা থেকে চোরাই মোটর বাইক বিক্রি করতে আসা বিহারের পূর্ণিয়া জেলার কসবা এলাকার দুই বাসিন্দা রেজাবুল ও মহম্মদ সাদ্দাম এবং কে নগর লাইন বাজারের বাসিন্দা মহম্মদ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। ১৯ অক্টোবর ওই তিন ধৃতকে ইসলামপুর আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। পুলিশের আবেদনে আদালত ধৃতদের ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে। বিহারের ওই ধৃতদের জেরা করে গোয়ালপোখর থানার বিশেষ টিম মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মোটর বাইক চুরি ছিনতাই চক্রের মূল পান্ডা সহ চার পান্ডাকে গ্রেপ্তার করে।

উদ্ধার হয় চুরি ছিনতাই হওয়া ১৬টি মোটর বাইক। গোয়ালপোখর থানার ওসি অভিজিৎ দত্ত জানিয়েছেন, রিমান্ডের আসামীদের জেরা করে চক্রের মূল পান্ডা কাঠালবাড়ি এলাকার সুভান ওরফে মহম্মদ সুভানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও ধুলাবাড়ি এলাকার মহম্মদ মেঘুয়া ওরফে নেবুয়া, ভেলাগাছি এলাকার জিয়ারুল এবং করনদিঘি থানার মহেশপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি এদের কাছ থেকে মোট ১৬টি মোটর বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। মোট ৭জনকেই এদিন আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে পুরো চক্রটাকে জালে পুড়তে করনদিঘির জাহাঙ্গীর আলম ও গোয়ালপোখরের জিয়ারুলকে আজকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন আদালতে জানানো হবে। জাহাঙ্গীর ও জিয়ারুলকে জেরা করে আরও তথ্য মিলতে পারে বলে গোয়ালপোখর থানার পুলিশের বিশেষ টিমের ধারণা। উল্লেখ্য, এই চক্রটি বাংলা থেকে চুরি ছিনতাই করা মোটর বাইক বিহার ও নেপালেও পাচার করে থাকে। আবার বিহার থেকে চুরি ছিনতাই করা মোটর বাইক বাংলায় মহম্মদ সুভানের কাছে বিক্রি করে। এভাবেই এই চক্রটি ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছিল।

ছবি: দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!