বাজলো তোমার আলোর বেণু, মাতলো যে ভুবন…

কালে ঘুম ভাঙতেই হোয়াটসাপ মেসেজের বন্যা “মহালয়ার শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা”, “পূজার আগাম শুভেচ্ছা”, ইত্যাদি। এই ভাবেই শুরু হলো শুভেচ্ছাময় স্নিগ্ধ একটা শারদ প্রাত।

দেখা গেল সবাই সকলের দ্বারা পাঠানো শুভেচ্ছায় বারে বারে চলে যাচ্ছিল পূজার সব রকম আনন্দ স্মৃতিতে। এই দিনেই বাঙালীর মনে পরে পূজার সব মিষ্টি স্মৃতি। মা – মাসিমার তাঁতের পাড়ওয়ালা শাড়ী, দু’হাতে শাখা আর পলা, সিঁথিতে মোটা করে সিঁদুর আর বেশ বড়সড় একটা টকটকে লালরঙা সিঁদুরের টিপ। এই আমাদের পুরো দস্তুর বাঙালী মা মাসীমার চিরা চরিত চেহারা। এখন অবশ্য সে সব অতীত। এই রূপ দেখা যায় শুধু মাত্র বিজ্ঞাপনে বা টিভি সিরিয়ালে। গত দশক থেকেই মহালয়ার সকাল মানেই ইতি উতি ভ্রমণ যেমন সেবক, মধুবন, ইদানীং গজলডোবা, রোহিণী, মালবাজার ইত্যাদি। যেন ভীর লেগে পরে। তবে তিলত্তমা কলকাতার মত শিলিগুড়িতেও এখন আছে বেঙ্গল সাফারি। সকাল থেকেই শুরু হয় কচিকাঁচাদের ভির, অবশ্যই মা-বাবা কে নিয়ে। তবে মহানন্দা ঘাটে তর্পণ প্রতিবারের মত চির নতুন। এবার অবশ্য অমবশ্যার অনেক দেড়িতে। তবে তর্পণ কিন্তু থেমে থাকেনি। শিলিগুড়ির আম বাঙালী পৌঁছে গিয়েছে মহানন্দা ঘাটে।

হাকিমপাড়ার কানু জ্যাঠার বলেন, মহালয়ার সকালে জলযোগের সেই থালার সাইজের পড়োটা আর আলুর দম আর এখন নেই। নেই কোন ইয়া বড় রসগোল্লা। আজ শুভ মহালয়ায় সোমবার শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। দেবী দূর্গাকে মর্ত্যে আবাহণের মাধ্যমে দেবীর শুভাগমনের আনুষ্ঠানিক প্রতীক্ষাও শুরু হয়ে গেছে এদিনই। সারা দেশের মত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মন্দিরে – মণ্ডপে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় বাঙালীর ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ বইতে শুরু করেছে। ঢাকের বাদ্দি বেজে উঠেছে ঢাকিদের দরের বোলের মাধ্যমে। টি.এন.আই পরিবারের তরফ থেকে সকলকে শুভ মহালয়ার অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সকলের পূজা যেন খুব ভাল কাটে এই আসা রাখছি নিউজডেস্কের পক্ষ থেকে।

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!