পুলিশ কে গাছে বেঁধে পেটানোর নিদান দিয়ে গ্রেফতার বিজেপি জেলা সভাপতি
দীপঙ্কর দে, (টি.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা জলপাইগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ইসলামপুর, ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০১৮: ইসলামপুরের দারিভিটে দুই ছাত্রের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকা এখনও থমথমে রয়েছে। গ্রামবাসীদের তরফে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ ও উঠে আসছে। এরই মাঝে বেঁধে পুলিশকে পেটানোর নিদান দিয়ে উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী গ্রেফতার হলেন। বিনা কারণে নির্দোষ গ্রামবাসীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে গ্রামে ঢুকলে তাদের গাছে বেঁধে পেটানোর নিদান দিয়েছিলেন তিনি। দলীয় কর্মসূচী শেষ করে দারিভিট থেকে রায়গঞ্জে ফেরার পথে বোতলবাড়ি এলাকা থেকে বিজেপি জেলা সভাপতিকে করনদিঘি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন তাঁর পার্সোনাল সেক্রেটারি সন্তোষ সরকার। জানা গিয়েছে, রবিবার ইসলামপুরের দারিভিট এলাকায় দুই মৃত ছাত্রের পরিবারের সাথে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দেখা করতে আসেন। বিজেপি নেতৃত্বের দারিভিটে আসার খবর শুনে মানুষের ঢল নামে। দারিভিট রাজ্য সড়কে গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে বলতে গিয়ে জেলা সভাপতি বিজেপির শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “গ্রামে ঢুকলে পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটান, পুলিশকে গাছে বেঁধে রাখলে তারা আপনাদের ৯জন নির্দোষ গ্রামবাসীদের এনে দেবে, তারপরই তাদের ছাড়বেন।
একটা আহত কুকুরকে জল দিবেন কিন্তু পুলিশকে নয়।” জেলা সভাপতির পার্সোনাল সেক্রেটারি সন্তোষ সরকার জানিয়েছেন, বোতল বাড়ি এলাকায় জেলা সভাপতির গাড়ি আটকে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন বলে তার সাথে থানার আইসি সাহেব থানায় দেখা করতে চেয়েছেন। এই বলে শঙ্কর বাবুকে করনদিঘি থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। জেলা পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ হয়নি। জেলা সভাপতির গ্রেপ্তারের ঠিক কি কারণ তা জানা না গেলেও সম্ভবত পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে উষ্কানীমূলক মন্তব্য করার কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় কেস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে জেলা বিজিপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে – বিজেপি জেলা সভাপতি গ্রেফতার হলেও, পুলিশ কে বোম মারতে বলার পর ও শাসক দলের অনুগত হওয়ার কারণেই অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে পুলিশ এখনোও কোনও ব্যবস্থা এখনও নেওয়ার সাহস দেখায়নি। পুলিশ একটি রাজনৈতিক দলের দলদাসে পরিণত হয়েছে বলে জেলা বিজেপির অভিযোগ।
ছবি: দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)