ধুপগুরিতে বৃষ্টিতে বাইকের জরিমানা কমে গিয়েছে দুর্ঘটনা আটকানোর জন্যে
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ধুপগুড়ি, ৩রা জুলাই, ২০১৮: বৃষ্টিতে জনজীবন ব্যাহত হবার পাশাপাশি ভাটা পড়ল ট্রাফিক পুলিশের জরিমানা আদায়ে। টানা বৃষ্টিতে জরিমানা আদায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। বাধ্য হয়ে মাথায় ছাতা নিয়ে টহলদারি অব্যাহত রাখছেন দুর্ঘটনা এড়াতে। জানা গিয়েছে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫ টি হেলমেট হীন বা অবৈধ ভাবে চলা বাইক চালককে জরিমানা ধার্য করা হয়।জরিমানার অঙ্ক হয় ২০ – ২৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে বানারহাট ট্রাফিক গার্ডের হিসেবে অনুযায়ী সাধারন দিনে গড়ে ১৩-১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। টানা বৃষ্টির জেরে গত শনিবার থেকে তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। একটানা বৃষ্টির জেরে সেই জরিমানা আদায় তুলনামূলক ভাবে একে বারেই কমে গিয়েছে। খতিয়ান অনুযায়ী, বানারহাট ট্রাফিক গার্ডে গত ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার টাকা এবং ধূপগুড়ি ট্রাফিক গার্ডের হিসেব অনুযায়ী ৩০ জুন ২ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার টাকা জরিমানা অঙ্ক ধার্য হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে বাইক দাড় করাতে গেলে হেলমেট বিহীন বাইক চালক বা বৈধ কাগজহীন বাইক চালকরা দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে পুলিশকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে, সেই দিকে নজর দিয়ে পুলিশকে খানিকটা থমকে দাড়াতে হচ্ছে। অপরদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে, ট্রাফিক গার্ড ডিউটিতে নামলেও বৃষ্টির সময় বাইক আটকানো সম্ভব হয় না। কারন হেলমেট বিহীন বাইক আরোহীকে আটকাতে গেলে চালক বাইকের গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেই মূহুর্তে বাইক আটকাতে গেলে বৃষ্টিতে পিছলে বাইকটি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা থাকে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে পিছু হটতে হয় ট্রাফিক গার্ডদের। বৃষ্টি থাকলেও ট্রাফিক গার্ড ও পুলিশ সঠিক ভাবেই তাদের কাজ করে চলেছেন। তবে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফে জরিমানা আদায় মুল লক্ষ্য নয়, দুর্ঘটনা কমানোই মূল উদ্দেশ্য বলে জানান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।
ছবি: প্রতীকী