পঞ্চায়েত করেনি, তাই রাস্তা সংস্কারে নামল গ্রামবাসীরাই – ধুপগুড়ির ঘটনা
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ধুপগুড়ি, ২রা জুলাই, ২০১৮: গতবারের পঞ্চায়েত সদস্যকে জানালে তিনি করেননি,এবারের নির্বাচিত সদস্যকে জানালেও তিনিও গুরুত্ব দেননি,তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষ নিজেরাই নিজেদের স্বার্থে রাস্তা সংস্কারে নামল। নিজেরাই কোদাল হাতে রাস্তার হাল ফেরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।গ্রামের কেবল ছেলেরাই নয় মহিলারাও তাদের কাজে হাত লাগিয়ে রাস্তা সংস্কার শুরু করল। সোমবার ধুপগুড়ি ব্লকের গাদং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫/২৪৪ নং গ্রাম পঞ্চায়েত অংশে দক্ষিন ডাবরি প্রায় ৪০-৫০ জনকে এই কাজে অংশ নিতে দেখা গেল। যদিও রাস্তার কাজ চলাকালীন দেখা মেলেনি এলাকার প্রাক্তন বা বর্তমান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের। জানা যায় ১৫/২৪৪ নং অংশে একদিকে রয়েছে দক্ষিন ডাবরি গ্রাম। যেখানে বসবাস প্রায় ২৫০-৩০০ পরিবারের। পাশাপাশি জমিই তাদের অর্থ সংস্থানের একমাত্র মাধ্যম জমির চাষাবাদ। কিন্তু এবছর বর্ষায় রাস্তার বেহাল দশায় জমির ফসল বাজারজাত করা তো দুরের কথা, পায়ে হেটে এলাকার বাজার ভুতেরহাট বাজার যাওয়া দু:সাধ্য। দীর্ঘদিন আগে দাবি জানাতে জানাতে একবার ১০০ দিনের কাজ হয়েছিল। তারপর এই রাস্তার দিকে কেউ ফিরে তাকায়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। গ্রামের বাসিন্দা জীবন চন্দ্র রায়, খুশি মন্ডলরা জানান, এই গ্রামের মানুষদের কথা কেউ ভাবে না। পাশেই একটি বাধে ১০০ দিনের কাজ করা হচ্ছে। সেই সময় দাবি করা হয়েছিল এই রাস্তার কাজের জন্য।কিন্তু শোনেনি। ভোটের সময় ভোট চাইতে আসে। পরে আর কোনো খোজ নেয়নি। প্রায় দেড় কিলোমিটার, ১২ ফিট চওড়া রাস্তা বেহাল অবস্থায়। কাদা মাটিতে চলা দায় হয়ে দাড়িয়েছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ক্ষতির মুখে পড়ছে এই এলাকার কৃষকরা। কোনো গাড়ি ঢুকতে পারছে না। যদিও এই সমস্যার বিষয়ে নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা লক্ষী দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বিগত পঞ্চায়েত সদস্য অমল চন্দ্র রায়কে এ বিশয়ে বলা হলেও তার সময়ে সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ।
ছবি: সুপ্রিয় বসাক (টি.এন.আই)