ফালাকাটা দেওগাঁও এর স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল বেহাল, দরকার সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য নীতি
অরুনাংশু মৈত্র
ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও হলো একটি বর্ধিষ্ণু ঘন জনবসতি পূর্ণ গ্রাম। এই গ্রামের গ্রামবাসীদের জীবিকা কৃষিকাজ। এই গ্রামের ছেলে মেয়েরা মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক এ ব্লকের মধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু এই গ্রামের একটি বড় সমস্যা স্বাস্থ্য পরিষেবা। দেওগাঁও গ্রামের গ্রামবাসীদের জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য যেতে হয় ১৫ কিলোমিটার দূরে ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতাল অথবা বীরপারা রাজ্যসাধারণ হাসপাতলে। দেওগাঁও গ্রামবাসীদের দাবি এখানেই একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার। এই দেওগাঁও গ্রামেই হাসপাতাল গড়ার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ সরকারি জমি, সেখানেই হাসপাতাল তৈরির দাবি উঠেছে দেওগাঁও বাসীদের থেকে। দেওগাঁও এর রাস্তার উপর ছিল সরকারি জমির উপর সরকারি হাট নাম কাশিয়াবাড়ি হাট। এই জমিটি জেলাপড়িসদ ও ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির। এই সরকারি জমির উপর কাশিয়াবাড়ি হাটটির ডাক হতো ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষথেকে। ৩ বিঘা জমির উপর অবস্থিত ছিল এই হাট, সেসময় বেশ জাকজমক ছিল হাটটি। সরকারের উদাসীনতার জন্য দীর্ঘ কয়েক বছর আগেই বন্ধ হয়ে রয়েছে হাতটি। কিন্তু কোন এক অগ্যতা কারণে ২০০৭ সালের দিকে বন্দ হয়ে যায় এই হাট। দীর্ঘ ১০/১২ বছর ধরে হাট বন্ধ থাকার ফলে বেদখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি জমি অভিযোগ গ্রাম বাসীদের। এই জমিতেই দেওগাঁও গ্রামবয়সীদের জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্যই একটি হসপিটাল তৈরির দাবি জোরালো হচ্ছে। তৈরি হয়েছে দেওগাঁও নাগরিক মঞ্চ। এই দেওগাঁও নাগরিক মঞ্চ কাশিয়াবাড়ি হাটের সরকারির উপর একটি হসপিটাল তৈরির জন্য গন আন্দোলন গড়ে তুলছে। এই মঞ্চ ফালাকাটার বিধায়ক শ্রী অনিল অধিকারী ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মহাশয়ের কাছে বিনীত আবেদন জানাবে, ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি হসপিটাল স্থাপন করার জন্য। তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। ইতি মধ্যেই তারা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে এর সূচনা করেছে। দেওগাঁও নাগরিক মঞ্চের পক্ষে আবিদ হোসেন বলেন, আমাদের ফালাকাটার বিধায়ক শ্রী অনিল অধিকারী ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মহাশয়ের কাছে বিনীত আবেদন ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি হসপিটাল স্থাপন করলে দেওগাঁও বাসি হিসাবে আমরা খুবেই উপকৃত হতাম। এখান থেকে ১৫ কিমি দূরে ফালাকাটা হসপিটাল ও বীরপাড়া হসপিটাল অবস্থিত। জরুরি পরিষেবা যেমন সাপের কামড়, জলে ডুবে, বা বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হলে এতো দূরে যেতে যেতে রোগীর মৃত্যু অবসম্ভাবী। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার অনুরোধ রইল। এখানে পর্যাপ্ত জমি রয়েছে হাসপাতাল করার মতো ও উপযুক্ত জায়গা এটি। এটি সরকারি হাটের জমি হাটটির নাম কাশিয়াবাড়ি হাট। সরকারের উদাসীনতার জন্য দীর্ঘ কয়েক বছর আগেই বন্ধ হয়ে রয়েছে হাতটি। আমরা দেওগাঁও বাসীরা হাসপাতাল তৈরির জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, সামনেই আমরা আমাদের বিধায়ক মহাশয়কে দাবি পত্র দেব।
ছবিঃ প্রতীকী