বর্ষার শুরুতেই ধুপগুড়ির লোকালয়ে বাড়ছে সাপের উপদ্রব
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ধুপগুড়ি, ৩০শে জুন, ২০১৮: বর্ষার শুরুতেই বাড়ছে লোকালয়ে সাপের উপদ্রব। বৃষ্টির জেরে চারিদিক জলমগ্ন, এই অবস্থায় নিজেদের আবাসন অর্থাৎ গর্তে জলে ঢুকে যাওয়াতেই বাইরে বেরিয়ে আসছে সাপেরা। আর সাপের কামড়ে আহত এবং মৃত্যুর ঘটনা শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার ধুপগুড়ি হাসপাতালে সাপের কামড়ে অসুস্থ এক মহিলাকে নিয়ে আসা হয়। মহিলার নাম উম্মি ওরাও, ধুপগুড়ির আংড়াভাষা এলাকার বাসিন্দা। ক্ষেতে কাজ করতে গেলে সেই সময় সাপ কামড়ায় তার পায়ে। স্থানীয়দের তৎপরতায় তাকে উদ্ধার করে ধুপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তার রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় বিষাক্ত সাপের কামড়েছে। দ্রুত তাকে ১০টি অ্যান্টিভেনাম দিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অন্যদিকে শনিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি কালুয়াগঞ্জ এলাকারর এক বাড়ির ঘরের সিলিং থেকে বিশালাকৃতি বার্মিজ পাইথন উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। বর্ষার শুরুতেই লোকালয়ে সাপের হানাদারি আতঙ্ক বিক্ষিপ্ত ভাবে রয়েছে। বুধবার ধুপগুড়ি হাসপাতাল চত্বরেই একটি কালাচ(কমন ক্রেট) সাপের বাচ্চা দেখা যায়।অনুমান যে বাচ্চা যেহেতু আছে, সেহেতু এখানে আরো ছোটো সাপ এবং বড় সাপ রয়েছে। ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় বহু সাপের দেখা মিললেও অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। এছাড়াও বিষাক্ত সাপের কামড়ের পরে সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা করালে রোগীর বাচা সম্ভব। ধুপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী মন্ডলের কথায় এই সময় সাপ বেশি দেখা যায়।তবে সাবধানে চলাফেরা এবং সাপ কামড়ালে আতঙ্কিত না হয়ে বাধন দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসার পাশাপাশি সাপের পরিচিতি দিতে পারলে চিকিৎসায় সুবিধা হয়।
ছবি: সুপ্রিয় বসাক (টি.এন.আই)