ধুপগুড়িতে নিঃসন্তান দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ধুপগুড়ি, ২৬ই জুন, ২০১৮: নিসন্তান দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিল।ঘটনাটি ঘটেছে ধুপগুড়ির ঝাড় মাগুরমারী এলাকায়।মৃত এই দম্পতির নাম তাপস রায় এবং অনিন্দিতা রায়। বিয়ের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তারা নিসন্তান ছিল।মঙ্গলবার সকালে পরিবারের লোকজন তাপসের ঘরের দরজা বেলা পেরিয়ে গেলেও ডাকাডাকি করে পরিবারের লোকেরা।কিন্তু তাতেও না খোলায় দরজা ভেঙ্গে দেখা যায় ঘরের সিলিংএ ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে দুজনে।খবর পেয়ে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মৃতদেহ গুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, বিয়ের তিন বছর হয়ে গেলেও তাদের কোনো সন্তান ছিল না। অনেক ডাক্তার, কবিরাজ দেখিয়েও সুরাহা হয় নি।তাই ছেলেকে আরো একটি বিয়ে দিতেও চাপ সৃষ্টি করছিল পরিবার বলে অভিযোগ।আর পরিবারের চাপে নতি স্বীকার করে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে দেবার পক্ষেও রাজী হয়েছিলেন স্ত্রী অনিন্দিতা।মেয়ের মৃত্যুর পর এমনটাই অভিযোগ করেছেন মৃতার বাবা অনিল রায়। তাপস ধূপগুড়ি হরিমন্দির এলাকায় একটি কাঠ মিলে নাইট গার্ডের কাজ করত।মৃত্যুর কারন নিয়ে অবশ্য স্থানীয় তথা প্রতিবেশীদের অনুমান গত তিন বছর আগে দম্পতির বিয়ে হয়।কিন্তু তাদের কোনো সন্তান ছিল না। এই নিয়েই দীর্ঘদিন থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। উল্লেখ্য সম্প্রতি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসাও হয়।পরে মহিলার বাবা এসে তার মহিলাকে বাপের বাড়ি নিয়ে যায়।পরে স্বামী ফোন করে ডাকায় অনিন্দিতা পুনরায় শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসেন। এদিকে মেয়েটির বাবা অনিল রায় বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখা হবে।তারপরই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হবে কিনা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ছবি: সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই)