পশ্চিমবঙ্গে ওষুধ ব্যাবসায় লড়াই বিসিডিএ বনাম পিসিডিএ, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ইসলামপুর, ১৭ই জুন, ২০১৮: বাম প্রভাবিত বেঙ্গল কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস এসোসিয়েশনের (বিসিডিএ) রাজ্যজুড়ে ওষুধ কোম্পানি সন্ত্রাসের জেরে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত প্রোগ্রেসিভ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস এসোসিয়েশন (পিসিডিএ)। জানা গিয়েছে, পিসিডিএ’র ওষুধ ব্যবসায়ীদের যোগ্যতা ও আর্থিক সঙ্গতি থাকলেও বিসিডিএর অনুমতি ছাড়া তাদের নামীদামী ওষুধের কোম্পানির স্টকিস্ট বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ দেওয়া হচ্ছে না বলে রাজ্যজুড়ে অভিযোগ উঠেছে। ওষুধ কোম্পানিগুলির নিয়ম মেনে দরখাস্ত করে অগ্রিম টাকা পাঠিয়েও শুধুমাত্র বিসিডিএর অনুমতি নেই বলে পিসিডিএর সদস্যরা স্টকিস্ট বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাচ্ছে না। বিভিন্ন অজুহাতে কোম্পানি প্রতিনিধিদের দ্বারা সন্ত্রাসের শিকার পিসিডিএ। যার ফলে বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধের থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলার অলিগলির মুমুর্ষ রোগীরা। পাশাপাশি জীবনদায়ী ওষুধ নিয়ে বামেদের এই নোংরা রাজনীতিকেও ভালো চোখে দেখছে না বাংলায় শাসকদলের ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন পিসিডিএ। পিসিডিএ সদস্য অঞ্জলি ফার্মার মালিক অভিজিৎ পোদ্দার বলেন, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে জেবি কেমিক্যালস, রেপটাকস ও ইউএসভি এর মতো ওষুধ কোম্পানিতে তাদের নিয়মানুযায়ী আবেদন করে লক্ষাধিক টাকার চেক ফেলে রেখে শুধুমাত্র আমি বিসিডিএর সদস্য নই বলে আমাকে হয়রানি করানো হচ্ছে। জেবি কেমিক্যালসের এএসএম অরূপবাবু এমআর পার্থ সারথীকে দিয়ে আমাকে জানিয়েছেন বিসিডিএ অনুমতি না দিলে আমাকে ওই সব কোম্পানির স্টকিস্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর দেওয়া যাবে না। অর্ডার মোতাবেক টাকা পাঠিয়ে ফেলে রেখেও আমাকে কোম্পানির গোডাউন থেকে মাল নিতে বলা হচ্ছে। এক্সপাইরি, ব্রেকেজ না দিয়ে কোম্পানি এলাকায় দূষন ছড়াতে উৎসাহী করছে। আর এসবই হচ্ছে বিসিডিএর ইশারায়। জেবি কেমিক্যালসের এএসএম অরূপবাবুকে বারবার ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। কিন্তু এমআর পার্থ সারথী বলেন, আমাকে এগুলো বলে লাভ নেই, থ্রু প্রোপার চ্যানেলে কোম্পানির সাথে কথা বলুন, আমি আপনাকে কিছুই বলব না। ইউএসভি কোম্পানির সিএনএফ ম্যানেজার দিলীপ কুমার লোধ বলেন, উনি মাল কেন নিচ্ছেন না সেবিষয়ে ওনাকে পরে চিঠি করা হলেও অঞ্জলি ফার্মা কোনও রিপ্লাই দেয়নি। আমি এবিষয়ে এর বেশি কিছু বলতে পারব না। পিসিডিএ’র রাজ্য সভাপতি কৌশিক সর্দার বলেন, সাংবিধানিক কোনও বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও বিসিডিএ রাজ্যজুড়ে ওষুধ কোম্পানি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। যার ফলে বেকার যুবক যুবতীরা বা আমাদের সদস্য উভয়ই বিসিডিএ’র এই সন্ত্রাসের শিকার। আমরা ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সমস্তটাই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ নেবেন। বিসিডিএ’র রাজ্য সভাপতি সুবোধ ঘোষ বলেন, কোম্পানি কে পাবে না পাবে সেবিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এগুলো অপপ্রচার, কোথায় কোন ঘরের কোণে চারপাঁচজন নিয়ে কোন সংগঠন হয়েছে তাঁর জবাব দিতে আমি প্রস্তুত নই।