এবার পুলিশি সন্ত্রাসের শিকার হল চোপড়ার বিরোধী শিবির, অভিযোগ
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, চোপড়া, ২৫শে মে, ২০১৮: শাসকদলের পর এবার পুলিশি সন্ত্রাসের শিকার চোপড়ার বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার চোপড়া থানার চোপরামারিতে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ দুই কংগ্রেস কর্মী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৫ জন জখম হয়েছেন।এলাকায় তীব্র উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন তৃণমূল এলাকার দখল নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কংগ্রেসীরা তাঁদের প্রতিরোধ করে বলে অভিযোগ। সেই সময় খবর পেয়ে চোপড়া থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় ত্রিপাক্ষিক গুলি বিনিময়ের ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইসলামপুর থেকে দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী এলাকায় নামানো হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাঁদের ওপর গোলাগুলি শুরু করে। প্রতিরোধ করতে গেলে উল্টে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে অরিফুল হক ও সমিরুল ইসলাম নামে দুই কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। তাঁদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিক্যালে সমিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এদিনের ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবী তৃণমূলের। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের দলের চোপড়ার জেলা পরিষদ প্রার্থী আলিমুদ্দিনের নামে ওয়ারেন্ট আছে বলে তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে আসলে সেই প্রার্থী আদালত থেকে জামিন নেবার কথা বললেও তাঁকে ও দুই বিজেপি কর্মী সহ তাঁদের পুলিশ বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে চোপড়া থানার আইসি পার্থ সারথী মজুমদার ওই বিজেপি প্রার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়ে কাউকে বিষয়টি না জানানোর আর্জি জানিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেন। এদিন জমি বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় ইসলামপুর আদালত থেকে জামিন নেন ওই বিজেপি প্রার্থী। এই মর্মে ওই প্রার্থী বিজেপি কার্যালয়ে এদিন একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন আলিমুদ্দিন। পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন। চোপড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অশোক রায় বলেন, চোপড়ার পুলিশ শাসকদল তৃণমূলের চামচাগিরি করতেই কংগ্রেসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। আমাদের দুই কর্মী পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ইসলামপুরের এসডিপিও সোমনাথ ঝা, ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব ও উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংকে বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কেউ ফোন ধরেননি।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই)