মালবাজারে নির্বাচনে লড়াইয়ে মুখোমুখি শিক্ষক ও ছাত্র
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই মালবাজার ৩০শে এপ্রিল, ২০১৮: এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার বিভিন্ন ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা জুড়ে নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।গত ২৮ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় পার হবার পর থেকে লড়াই আরো জমে উঠেছে।বিভিন্ন এলাকায় লড়াইয়ের মধ্যে এবারে লড়াইয়ের ময়দানে মুখোমুখি শিক্ষক এবং ছাত্র। ডুয়ার্সে মেটেলি ব্লকের মংগলবাড়ির মাটিয়ালি বাতাবড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১/৫৭, ৫৮ আসন। এই আসনে গুরুশিষ্যের সৌহার্দপূর্ণ লড়াই হছে। সবার নজর এই আসনের দিকে।চর্তুমুখী লড়াই হলেও মুল লড়াইটা হচ্ছে গূরু ও শিষ্যের মধ্যে। এই আসনে এবার রাজ্যের শাসক দল প্রার্থী করেছে প্রবীণ তৃনমূল কংগ্রেস নেতা তথা গত ২০১৩ সালে পঞ্চায়েতের বিজয়ী আশীষ কুন্ডুকে। অন্যদিকে সিপিএম প্রার্থী করেছে দলের যুব নেতা রমজান ইসলামকে। পরস্পর বিরোধী দলের প্রার্থীদের সম্পর্ক কিন্তু গুরুশিষ্যের।বছর পাঁচেক আগেও রমজানরা দুইভাই আশীষ বাবুর কাছে প্রাইভেট পড়তেন। গৃহ শিক্ষক হিসাবে এই এলাকায় আশীষ বাবুর পরিচিতি রয়েছে। এলাকার সমাজকর্মী হিসাবে সুখ্যাতি রয়েছে। সাদামাটা এই মানুষটি জন্মলগ্ন থেকে তৃনমূল কংগ্রেসের সাথে রয়েছেন।নিজের মুখে জানালেন, রমজানরা দুই ভাই আমার কাছে পড়ত। ব্যাক্তিগত সম্পর্ক আগে যে রকম ছিল ভবিষ্যতেও একই রকম থাকবে। তবে রাজনীতির ক্ষেত্রটা আলাদা।ভোট হবে সামগ্রিক উন্নয়ন দেখে। উন্নয়ন যা হয়েছে এবং প্রচার যেভাবে হচ্ছে তাতে জয় আমার নিশ্চিত। অপরদিকে, সিপিএমের যুব নেতা রমজান ইসলাম জানান, উনি আমদের শিক্ষক ছিলেন।আমার শ্রদ্ধেয় মানুষ। ব্যাক্তিগত সম্পর্ক আগের মতো থাকবে। ভোটে রাজনৈতিক লড়াই হবে।এই এলাকার পঞ্চায়েত সিপিএমের ছিল। প্রচুর ভভোটার আমাদের আছে। এই লড়াইতে আমি আশাবাদী। এই দুইজন ছারাও বিজেপি ও নির্দল দুজন প্রার্থী রয়েছেন।তাদের সম্পর্কে জনতার কৌতুহল বিশেষ নেই। সরার নজর গুরুশিষ্যের দিকে।
ছবিঃ সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই)