পঞ্চায়েত ভোটে চোপড়ায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামর দৈন্য দশার হাতিয়ার বিরোধীদের
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই চোপড়া ২৯শে এপ্রিল, ২০১৮: প্রাক্তন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর খাস তালুক চোপড়া ব্লকে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা পঞ্চায়েত ভোটে মুখ্য ইস্যু শাসক বিরোধী উভয় দলেরই। জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকে মাত্র একটি দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও লক্ষ্মীপুর, দাসপাড়া ও সোনাপুরে তিনটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। চোপড়া ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাপুর ও চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েত বাদ দিলে বাকি ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ভারত-বাংলা সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। এই এলাকার বাসিন্দাদের মুমুর্ষ রোগীর একমাত্র ভরসা বিএসএফ। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা না থাকায় বেজায় ক্ষুব্ধ চোপড়ার বাসিন্দারা। ফি বছর ভোটের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখ্য ইস্যু এলাকার বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা হলেও ভোটের শেষে কোনও জনপ্রতিনিধিকে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে উদ্যোগী হতে দেখা যায় না। প্রত্যন্ত এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত বেড়াতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ধনীদের কোনও সমস্যা নেই। নিজের গাড়ি অথবা ভাড়ার গাড়ি করে চোপরার দলুয়া অথবা ইসলামপুর বা শিলিগুড়ি নিয়ে যেতে পারে অনায়াসেই। কিন্তু গরিবদের জন্য একমাত্র ভরসা বিএসএফ। বিএসেফরাই রাত বেড়াতে মুমুর্ষ রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছানোর কাজ করে থাকেন। দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে চোপড়া ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য ৮টি নিশ্চয়যান এম্বুলেন্স রয়েছে। প্রসূতিদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনার জন্য। এছাড়া চোপড়া ব্লকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব হার মাস প্রতি প্রায় ২২০ ছাড়িয়েছে। এক্ষেত্রে চোপড়ার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির দাবী সব পক্ষই করছে। দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক অমিত দত্ত বলেন, এই মুহূর্তে চোপড়ায় দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আপগ্রেডেসন খুবই প্রয়োজন। আমাদের উচ্চ পদস্থ অধিকারিককে এবিষয়ে অবগত করা হয়েছে। চোপড়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সিপিএমের আনোয়ারুল হক বলেন, আমাদের আমলে আমরা প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলার ব্যাবস্থা করেছিলাম। কিন্তু সরকারে ক্ষমতায় না থাকার কারনে পরে যারা এসেছে তাঁরা তা বাস্তবায়িত করেননি। আর চিকিৎসক তৈরি না হলে এসব সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মতো বিল্ডিং বানিয়ে কোনও লাভ হবে না। আর এই সরকার উল্টে চিকিৎসক পিটিয়ে তাড়াচ্ছে। চোপড়া ব্লকের স্বাস্থ্য পরিষেবা আমরা যাও করে গিয়েছিলাম এখন তা আরও অবনতি হয়েছে। চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমান বলেন, সিপিএম ৩৪ বছরে চোপড়া এলাকাটাকে ভাগাড় বানিয়ে রেখেছিল। আমরা এসে গ্রামে গ্রামে নিশ্চয়যান করেছি। হাসপাতালের দাবি আমার দীর্ঘদিনের। তবে আপাতত দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র কে ৩০ বেড থেকে বাড়িয়ে ৬০ বেডের আবেদন পাঠানো আছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে বাংলায় আমাদের সরকার যা করেছে তা দেখে সিপিএমের লজ্জা হওয়া উচিত।