আলিপুরদুয়ারে ডাব্লু.বি.ইউ.পি.টি.এ এর অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য
অরুনাংশু মৈত্র (টী.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই আলিপুরদুয়ার ২২শে এপ্রিল, ২০১৮: যোগ্যতা অনুযায়ি সঠিক বেতনের দাবীতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড প্রাইমারী টিচার্স এসোসিয়েশন এর প্রথম জেলা পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হল আজ আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের মুক্ত মঞ্চে। এদের একটাই লক্ষ্য বেতন বৈষম্যের অবসান ঘটানো। আজ যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা তার মধ্যে বেতন বৈষম্যর ইস্যুটা জোরালো ছিল। আলোচনায় বলা হয় আগে প্রাথমিকের যোগ্যতামান ছিল মাধ্যমিক পাশ। ২০১০ সালের পর প্রাথমিকে যোগ্যতামান নির্ধারিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পাস (৫০% নম্বর সহ) এবং ২ বছরের ডিপ্লোমা। কিন্তু শিক্ষকতার যোগ্যতামান বৃদ্ধি হলেও বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস হয়নি (হওয়া উচিত ছিল বেসিক পে ৯,৩০০ – ৩৪,৮০০, গ্রেড পে ৪২০০)। বর্তমানে একজন প্রাথমিক শিক্ষক ১০,০০০ টাকা কম বেতন পাচ্ছেন। দাবী রাখা হয় যে শিক্ষক যখন থেকে যোগ্যতামান বাড়িয়েছেন তাকে সেই সময় থেকে (বেসিক পে ৯,৩০০ – ৩৪,৮০০ এবং গ্রেড পে ৪,২০০) দিতে হবে। এই দাবির সপক্ষে আলিপুরদুয়ার জেলার ১২টি সার্কেলের মোট ৬০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় আরও বলা হয়, ভারতবর্ষের বেশীরভাগ রাজ্যেই সঠিক বেতন ক্রম চালু থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষকরা এখনও মাধ্যমিক যোগ্যতামান অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন। অন্যদিকে, আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ দিকের ওপর আলোকপাত করা হয়, যা হল একই যোগ্যতায় নিযুক্ত মাদ্রাসার প্রাথমিক শিক্ষকরা উচ্চতর বেতনক্রম (বেসিক ৭১০০ – ৩০,০০০) ও গ্রেড পে ৩১০০) পাচ্ছেন।
ছবিঃ অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই)