বাংলা নববর্ষে ইসলামপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিহার-বাংলা কবি সমাবেশ
সুশান্ত নন্দী (টী.এন.আই সংস্কৃতি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ইসলামপুর, ১৬ই এপ্রিল, ২০১৮: এক মুঠো রোদ পত্রিকার উদ্যোগে বাংলা ও বিহারের শিল্পী সাহিত্যিক সমন্বয়ে উদযাপিত হল বর্ষবরণ ও আন্তর্জাতিক শিল্পকলা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান – “শব্দ কথন বর্ষ বরণ ১৪২৫”৷ স্থানীয় ইসলামপুর রুরাল লাইব্রেরীতে অনুষ্ঠিত সভায় সভামুখ্য নিশিকান্ত সিনহা, প্রধান অতিথি অশেষ দাস ও বিশেষ অতিথি বিবেকানন্দ বর্মন প্রথমেই নীরবতা পালন করেন স্থানীয় সাংবাদিক নির্মল দত্ত, সাংবাদিক-সম্পাদক নকুল চন্দ্র দাস কোচবিহারের সদ্য প্রয়াত সন্তোষ বসু ও দেবব্রত দে সরকারের স্মরণে৷ উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন শ্রেয়শ্রী সাহা৷ এছাড়াও স্বপ্না উপাধ্যায়, শ্রেয়সী দাস ও নুপুর বোস ভৌমিক সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ কবিতা পাঠ করেন অভিজিৎ আচার্য, শিপ্রা রায়, ভবেশ দাস, বিবেকানন্দ বর্মন, কিষণগঞ্জের আশীষ ঘোষ, শিলিগুড়ির অনন্যা ভাদুড়ি ছাড়াও কাজল দাস, উদয় দাস, মনোজিৎ দাস, পম্পা দাস, দ্বিজেন পোদ্দার, কৌস্তুভ দে সরকার৷ গল্প পাঠ করেন আবীরা সেনগুপ্ত৷ অনুবাদ কবিতা শোনান রণজিৎ হালদার৷ আবৃতি পরিবেশন করেন শিলিগুড়ি থেকে আগত নিলাক্ষী সরকার, স্থানীয় শিশু শিল্পী জাহিন নিগার ইসলাম ও আবৃতি চেতনার শিল্পী ঋতুস্মিতা সাহা৷ বর্তমান কবিতা ও সাহিত্যে সংকীর্ণতা ও সংকট বিবেকানন্দকে অনুসরণ করে কাটিয়ে তোলার কথা বলেন সর্বাশিষ কুমার পাল৷ প্রকাশক মৃদুলা শিকদার ও বিশিষ্ট জনের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হয় এক মুঠো রোদের বৈশাখ সংখ্যা৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে বাঙালীর অস্তিত্ব ও আত্মবিস্মরণের বিষয়ে সুচারু ও তথ্যসমৃদ্ধ বক্তব্য রাখেন শিলিগুড়ির বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক অশেষ দাস৷ ইসলামপুরে একমাত্র সাহিত্য পত্রিকা এক মুঠো রোদের এই অনুষ্ঠান বর্ষবরণকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে বলেন অন্তিম গুহ৷ এছাড়া শিরুয়া বিষুয়ার শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও সংবিধান ও রাষ্ট্র প্রসঙ্গে আলোচনা করেন পাশারুল ইসলাম৷ গ্রন্থাগারিক শ্রীসুকলাল অধিকারী আরও অনুষ্ঠানের জন্য সবাইকে আহ্বান জানান৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী রাজু দাস, বিজ্ঞান আন্দোলন কর্মী ও পত্রিকা সম্পাদক কৌন্তেয় নাগ সহ আরও বিশিষ্ট জন৷সুদীপ্ত ভৌমিকের শিস্ ধ্বনিতে সঙ্গীতের সুর পরিবেশন ও সভামুখ্যের সমাপ্তি ভাষণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে৷ সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পত্রিকা সম্পাদক প্রসূন শিকদার৷
ছবিঃ সুশান্ত নন্দী (টি.এন.আই)