চিপকো আন্দোলনে ৪৫তম বর্ষপুর্তি উদযাপিত হল বালুরঘাটে
দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই বালুরঘাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই বালুরঘাট ২৬শে মার্চ ২০১৮: গাছ আমাদের রক্ষাকর্তা। গাছ মানুষের পরম বন্ধু। যেখানে গাছ নেই, সেখানে মানুষ বাঁচতে পারে না। আর এই অমোঘ সত্যটা কে সকলের কাছে আরো বেশিকরে পৌছে দিতেই চিপকো আন্দোলনে ৪৫ তম বর্ষপুর্তি উদযাপিত হল বালুরঘাটে। মূলত দিশারী সংকল্প নামক পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের ঊদ্যোগে এবং অযোধ্যা কে.ডি. বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের ছাএছাত্রীদের নিয়ে চিপকো আন্দোলনে ৪৫ তম বর্ষপুর্তি উপলেক্ষে বিভিন্ন কর্মমসূচী গ্রহন করাহয় সোমবার। জানাগেছে, আজকের দিনে ১৯৭৩ সালে উওর প্রদেশের গাড়ওয়াল জেলার মন্ডল গ্রামে গাছ কাটার বিরুদ্ধে চিপকো আন্দোলন নামে একটি স্বতঃস্ফুর্ত আন্দোলন গড়ে ওঠে। “চিপকো” কথার অর্থ জড়িয়ে ধরা বা চেপে ধরা। ঠিকাদাররা গাছ কাটতে আসলে সেদিন গ্রামবাসী মহিলারা গাছকে জড়িয়ে ধরে গাছ কাটাকে প্রতিরোধ করেছিলেন। অরণ্যবিনাশ, গাছকাটা প্রভৃতি পরিবেশ প্রতিকুল কার্য্যকলাপের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় ১৯৭৩ সালে বর্তমানে উত্তারাখন্ডে। নেতৃত্বে ছিলেন – সুন্দরলাল বাহুগুনা, গৌরী দেবী এবং চন্ডি প্রসাদ ভাট্ প্রমুখরা। এবিষয়ে, পরিবেশ প্রেমী শ্রী তুহিন শুভ্র মন্ডল জানান, ‘আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি বিভিন্ন কারনে গাছ কাটা পরছে। গাছকে রক্ষাকরতে বা আরন্য সম্পদ রক্ষাকরতে চিপকো আন্দোলন গোটা পৃথিবী ব্যাপি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। শুধু আজকের দিনটিতে নয় প্রতিনিয়ত গাছের সাথে মানুষের বন্ধ যাতে দৃঢ় হয়, ছাত্রছাত্রীরা যাতে এই দিনটির মাহাত্ব বুঝতে পারে এবং গাছকে রক্ষা করতে এগিয়ে আশে সেই কারনেই আজকের এই আয়োজন’। অন্যদিকে, ছাত্রছাত্রীরা জানান, এইরূপ দিন তাদের জীবনে এর আগে কোনদিন আসেনি। তারা একদিকে যেমন আনোন্দিত, তেমনি ভবিষ্যতে এই ভাবেই গাছকে জড়িয়ে ধরে রক্ষা করার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ছবিঃ দীপঙ্কর মিত্র (টি.এন.আই)