ক্যাম্প করে সহায়ক মূল্যে ধান কিনছেন ধুপগুড়ী বিধায়ক মিতালি রায়
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ধুপগুড়ী ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮: রাজ্য বিধানসভা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার বিধায়কদের পৃথকভাবে সহায়ক মুল্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেওয়া হল। এমনকি নিজেদের লক্ষমাত্রা পূরনের জন্য নিজের নিজের এলাকায় বিধায়কদের ধান কেনার লক্ষে আলাদাভাবে ক্যাম্প করবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিধায়করা বিভিন্ন ব্লকে তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরন করার কাজে নেমেও পরেছেন। জলপাইগুড়ি জেলার অন্যান্য ব্লকের মতো ধুপগুড়ী ব্লকেও মহাসংঘের সহায়তা নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক মিতালি রায় সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কাজ শুরু করেছেন। উল্লেখ্য ধুপগুড়ী কিষান মান্ডি এলাকায় খাদ্য দপ্তরের স্টলে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ চলছিল। সেখানে কৃষক ধান নিয়ে আসলে তাকে প্রতি ক্যুইন্ট্যাল ধান ১৫৫০ টাকা এবং উৎসাহ মূল্য বাবদ আলাদা ২০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর, শনিবার ধূপগুড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বিধায়ক মিতালি রায় পৃথকভাবে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্যাম্প করেছেন। আগামীতে ব্লকের আরো প্রায় ৯-১০টি স্থানে ধারাবাহিকভাবে ক্যাম্প করার সময়সূচী ঠিক করা হয়েছে। জানা গেছে, শনিবারের ক্যাম্পে প্রায় ৩৬ টন ধান কেনার কাজ হয়েছে। বিধায়ক মিতালি রায় জানান, “তাকে যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে ক্যাম্প করার কথা বলা হয়েছে,সেগুলি প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকাতেই করা হবে। যাতে কৃষকদের বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে যেতে নাহয়। তাই কৃষকদের কাছাকাছি গিয়ে ক্যাম্প করা হচ্ছে।” বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ধুপগুড়ী ব্লকে এবছর ধানের মরশুমে ৬৯৪৯ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এরমধ্যে জানুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮২৭ মেট্রিক টন।তবে জানুয়ারিতে মাত্র ৫৮২মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে। এও জানা গেছে মরশুমের তিন মাসে এখন পর্যন্ত মোট ৬১৫মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এখনও লক্ষ্যমাত্রার ৬৩৩৪ মেট্রিক টন ক্রয় করা যায়নি। এই মূহুর্তে সম্পূর্ন লক্ষ্যমাত্রা পূরন করতে বিধায়কদেরও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। বিধায়ক এও জানান, “ধারাবাহিক ভাবে মহাসংঘের মাধ্যমে ক্যাম্প করে ধান কেনার কাজ করা হচ্ছে।”