ধুপগুড়ীতে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধুর মৃত্যুর ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১ জন আটক

সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ধুপগুড়ী ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮: অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির ৮ সদস্যের নামে অভিযোগ দায়ের করল মৃতার বাবা। অভিযোগ পাবার পরেই মৃতার শ্বশুর মহম্মদ জিতামুদ্দিনকে আটক করেছে ধুপগুড়ী থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ধুপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গেছে, বছর পাচেক আগে বারোঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা মামুনির সাথে বিয়ে হয় মোজাম্মেল হোসেনের। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারিরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। এও অভিযোগ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে এক শীতের সকালে আগুন পোহানোর সময় মামুনির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ফেলে দেয় তারা। অগ্নিদগ্ধ মামুনিকে প্রথমে ধুপগুড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জলপাইগুড়ি সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা প্রায় ১ মাস চিকিতসার পর শনিবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। এরপরের মামুনির বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হন। মামুনির শ্বশুরবাড়ির ৮ জনের নামে ধুপগুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরে করেন। এদিন মৃতার বাবা জয়নুল হক জানান, “এক মাস চিকিৎসা চললেও শ্বশুরবাড়ির কোন সদস্যই হাসপাতালে গিয়ে দেখা করেননি। এমনকি তারা কেউ মামুনির মৃত্যু সংবাদ পর্যন্ত জানেন না। বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের উপর অত্যাচার করে আসছিল। মেয়ের সংসারের কথা ভেবে বারবার মীমাংসা করে নেওয়া হয়। কিন্তু ভাবতে পারিনি আমার মেয়েকে প্রানেই মেরে ফেলবে”। এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত মামুনির স্বামী মোজাম্মেল হোসেনকে না পেয়ে অন্য অভিযুক্ত মৃতার শ্বশুরকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ধুপগুড়ী থানার আইসি শ্রী সঞ্জয় দত্ত জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকি অভিযুক্তদের খোজে তল্লাশী চালানো হচ্ছে”।

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!