সোনার পদক নিয়ে এলো ইসলামপুরের মেয়ে শ্রেয়সি সাহা
সুশান্ত নন্দী (টী.এন.আই সংস্কৃতি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ইসলামপুর ১৯ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮: রবি ঠাকুরের গান গেয়ে সোনার পদক নিয়ে এলো ইসলামপুরের মেয়ে শ্রেয়সি সাহা। ওর এই প্রাপ্তিতে ঋদ্ধ হলো এলাকার সংস্কৃতি। ইসলামপুরের উদীয়মান সংগীত শিল্পীদের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে বেশ স্বকীয়তায়। ওর অনুভবে ধরা পরে বিমূর্ত রবীন্দ্রনাথ। সম্প্রতি নিখিল ভারত সংগীত সমিতির থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীত এর সপ্তম বর্ষে স্বর্ণ পদক পেয়েছে। কলকাতার আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে সম্প্রতি এই পুরুস্কার তুলে দেওয়া হয় শ্রেয়সী সাহাকে। পুরষ্কার দিয়েছেন নিখিল ভারত সংগীত সমিতির সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। ইসলামপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সে। ডি.এল.এড কোর্সও করা হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। দর্শনে অনার্স রয়েছে ওর। পড়াশুনার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ আর তার গানকে ভালোবেসে প্রতিদিনের অবসরগুলো সে সাজিয়ে তোলে রাবীন্দ্রিক অনুভবে।
যেন সুরমূর্ছনায় অনুরণিত হয় সেই পরিবেশ। মূলত গানকে নিয়েই স্বপ্ন দেখছে সে। যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিনই নিজের প্রেক্ষাপট জুড়ে থাকবে রবীন্দ্র আবহ।একের পর এক মঞ্চে অনুষ্ঠান করছে শ্রেয়সী। ওর গানে দর্শকরা যেন মুগ্ধতা খুঁজে পায়। ভবিষ্যতে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হিসেবে গড়ে তোলার অদম্য ইচ্ছেকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলছে সে।শ্রেয়সীদের বাড়ি ইসলামপুরের স্টেশন রোডে। বাবা নিতাই সাহা পেশায় ব্যবসায়ী। বাবার পাশাপাশি মা দ্বীপান্বিতা সাহা মেয়েকে সবসময় গানে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন। শ্রেয়সী গান শেখে ইসলামপুরের বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সুমা পালের কাছে। তিনিও শ্রেয়সীর এই প্রাপ্তিতে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। তার কাছে তালিম নিয়েই শ্রেয়সীর এই প্রাপ্তি। এছাড়াও তবলা সঙ্গতে ওকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছেন বিশিষ্ট যন্ত্র সংগীত শিল্পী পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে দুজনকেই গুরু বন্দনার মাধ্যমে সম্মাননা জ্ঞাপন করেছে শ্রেয়সীর পরিবার।ওর গান আগামী প্রজন্মের শিল্পীদের ভাবতে শেখাবে।
ছবিঃ সুশান্ত নন্দী (টী.এন.আই)