ধর্মীয় পর্যটনের আওতায় আসার আগেই ঐতিহাসিক ভবানী পাঠকের মন্দির পুড়ে ছাই
টি.এন.আই নিউজ সার্ভিস
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই রাজগঞ্জ ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮: এক মর্মান্তিক ঘটনায় ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যপূর্ণ শিকারপুর – ভাণ্ডারপুর চা বাগানে অবস্থিত ভবানী পাঠকের মন্দির পুড়ে ছাই হয়ে গেল। যেহেতু জায়গটা জলপাইগুড়ি শহর কিংবা শিলিগুড়ি শহর থেকে অনেকটাই দূরে তাই খবর পাওয়া সত্ত্বেও দমকল পৌঁছানোর আগেই ওই মন্দিরটা সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। জলপাইগুড়ি শহর থেকে দুটি দমকল এসেছে ঠিকই কিন্তু তাঁর আগেই মন্দিরের প্রায় অধিকাংশই পুড়ে যায়। আগুন কী ভাবে লাগল তা জানা যায়নি। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় যে যখন আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পরে স্থানীয় রা তৎক্ষণাৎ আগুন নেবানোর কাজে হাত লাগায়।
আগুন নেভানোর কাজে প্রথম হাত লাগান স্থানীয়রাই। ইতিহাস অনুযায়ী বাংলার প্রবাদ প্রতিম লেখক শ্রী বঙ্কিমচন্দ্রের চট্টোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাসে ‘দেবী চৌধুরানি’ এই ২০০ বছরের পুরনো মন্দিরের কথাই উল্লেখ আছে। এই মন্দির কে ঘিরে বহু দেশি বিদেশি সংবাদ সংস্থা অনেক তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন। তবে পর্যটন মানচিত্রে এই মন্দিরকে এতদিন ব্রাত্যই থাকতে হয়েছিল। স্থানীয়দের মতে এতদিন ব্রাত্যই থাকতে হয়েছিল। পর্যটন পর্যবেক্ষক দের মতে ট্যুর অপারেটররা এই ঐতিহাসিক স্থানকে প্রচার করার ক্ষেত্রে এক প্রকার অনিহা প্রকাশ করতেন। এর কারন হয়ত এই পর্যটন স্থানের ভুল অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ হতে পারে। তবে কিছুদিন আগে পর্যটন দপ্তরের থেকে জানানো হয়েছিল যে এই মন্দিরকে ধর্মীয় পর্যটনের সার্কিটের আওতায় আনা হবে। সেই সময় থেকেই স্থানীয়দের আশার আলো জ্বলতে শুরু করেছিল। তবে এই আগুনে সব পুড়ে শেষ হয়ে গেল।