উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে শুরু হল চিতা বাঘের সুমারী
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ওদলাবাড়ি ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮: উত্তরবঙ্গে শুরু হল চিতা বাঘের সুমারী। বাঘের পাশাপাশি এবারে চিতাবাঘের সুমারিও শুরু হল। তিনদিনের এই সুমারি শুরু করা হয়েছে শনিবার থেকে। আগামি ১১ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সার্ভে করার পর যেখানে যেখানে এই বাঘ সহ চিতার দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেই সব এলাকায় আগামি দিনে নজরদারিত্র লাগানো হবে ট্র্যাপ ক্যামেরা। নেওড়া ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক এবং বক্সাটাইগার প্রজেক্টের জংগলে বাঘের দেখা পাওয়ার ফলে বনদপ্তর দেখে নিতে চাইছে যে উত্তরবঙ্গের অন্য জংগলেও বাঘ আছে কিনা। বনকর্মিরাই এই সুমারির কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর আগে বাঘ সুমারি করা হলেও তা করা হয়েছে নেওড়াভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক, গরুমারা জাতিয় উদ্যান, বক্সাটাইগার রিজার্ভ, ও মহানন্দা ওয়াইল্ডলাইফ স্যানকচুরি এলাকায়। এবারে বনপ্রান শাখার জঙ্গল ছাড়াও বনদপ্তরের টেরিটোরিয়াল এলাকাতেও সুমারির কাজ শুরু করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি বনদপ্তরের জল্পাইগুড়ি জেলার বনাধিকারিক শ্রী বিদ্যুৎ সরকার বলেন, এবারে বন্যপ্রান শাখা ছাড়াও বন্দপ্তরের জঙ্গল এলাকাতেও বাঘের সাথে চিতাবাঘের গননার কাজও শুরু করা হয়েছে।
যেখানে বাঘ ও চিতাবাঘের থাকার সম্ভবনা রয়েছে সেই জায়গা গুলো চিহ্নিত করে সেখানে ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো হবে। বনদফতর সুত্রে এবং শুল্কাপাড়া বনদফতরের বিট অফিসার কিশলয় শ্রী বিকাশ দে এর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, এই সুমারী মুলত পাগমার্ক, স্ক্যাচ, স্ক্যাটের সাহায্যে নেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক পর্বে।এছাড়াও বাঘ অথবা চিতাবাঘের দেখা পাওয়া গেলে তার ছবি তোলা হবে। একাধিক বাঘ অথবা চিতাবাঘ ওর ছবি তোলা হলে তা একই বাঘের কিনা সেটাও ল্যাবরেটরিতে পরিক্ষা করা হবে। গায়ের দাগ অথবা লোম পরিক্ষা করে। ঠিক একইভাবে স্ক্যাটেরও (মল) ল্যাবেরটরিতে পরিক্ষা করে দেখা হবে তা একই বাঘের না একাধিক বাঘের। প্রতিটি বিট অফিসার জঙ্গলের ভেতরে পায়ে হেটে পাঁচ কিমি করে পথ হেটে এই কাজ করবেন। জঙ্গলের ভিতরে যেসমস্ত ঝোরা রয়েছে তার আশে পাশে বনকর্মিদের বেশি করে লক্ষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও তাদের পায়ের ছাপ অথবা গাছের মধ্যে আচর রয়েছে কিনা? কারন সেই ঝোরাগুলিতে বাঘ ও চিতা বাঘেরা জল খেতে আসতে পারে।
ছবিঃ সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই)