প্রতিদিন চার ঘন্টা বর্হিবিভাগ: তবুও জরুরী বিভাগে বর্হিবিভাগের রোগী ভীড়ে সমস্যা
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ধুপগুড়ী ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮: প্রতিদিন চার ঘন্টা করে বর্হিবিভাগ খোলা থাকলেও হাসপাতালের জরুরী অর্থাৎ আপদকালীন বিভাগে রোগীদের ভীড়।তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় জরুরী বিভাগে জরুরী রোগী ছাড়াও সামান্য সমস্যা বা অসুস্থতা নিয়ে আসা রোগীদের ভীড় বেশি।যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে জরুরী পরিষেবা। ধুপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতাল এই মুহুর্তে পরিস্থিতি এই রকমই চোখে পড়ছে। পরিষেবা দিতে গিয়ে ব্যাতিব্রস্ত হয়ে পড়ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। নিয়মমাফিক সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত হাসপাতালের বর্হিবিভাগ খোলা রাখা হয়। তাতে রোগী পরিষেবার জন্য দুই বা ততোধিক চিকিৎসক থাকেন। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে রোগীরা দুপুর ২ টার পরেও এসে ভীড় করছেন। বর্হিবিভাগে চিকিৎসক না পেয়ে তারা যাচ্ছেন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে। যেখানে অধিকাংশ সময় আপদকালীন রোগী যেমন দুর্ঘটনাগ্রস্থ, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য চিকিৎসক বরাদ্দ। জরুরী পরিষেবাতে তাই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সামন্য জ্বর, পেটে ব্যাথা,মাথার যন্ত্রনা এমনকী স্কিন অ্যালার্জি নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসা করতে বাধ্য হচ্ছেন জরুরী বিভাগে। কখনো রোগীদের ভীড় সরিয়ে জরুরী রোগীর চিকিৎসা করতে চিকিৎসক এগিয়ে গেলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন লাইনে দাঁড়ানো রোগীরা। তবে বর্হিবিভাগের রোগীদের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসার কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেল বর্হিবিভাগে অনেক সময় লম্বা লাইন থাকে এবং টিকিট করিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করাতে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেন।তাই অনায়াসে হাতের মুঠোতে টিকিট এবং চিকিৎসা পরিষেবা পেতে জরুরী বিভাগে চলে যায় রোগীরা। ধুপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী মন্ডলকে এবিষয়ে জিঞ্জাসা করা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা করাতে আসবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু রোগী বা রোগীর আত্মীয় স্বজনদের বোঝা উচিত আগে জরুরী বিভাগের রোগীদের প্রাধান্য দিতে হবে। সামান্য অসুস্থতা নিয়ে জরুরী বিভাগে অযথা ভীড় করার কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। বরং বর্হিবিভাগেই আসা উচিত। বিভিন্ন সময় এই বিষয়গুলি নিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আমরা পরিস্থিতি সামলে নিয়েছি।আর চিকিৎসকের সংখ্যা যথাযোগ্য থাকলেও জরুরী বিভাগে গ্রামীন হাসপাতালে দুইজন চিকিৎসক দেওয়া সম্ভব নয়। এক রোগীর আত্মীয়ের কথায় চিকিৎসা করাতে রোগীদের কাছে নিজেদের রোগই বড়।তবে ধুপগুড়ি হাসপাতালের আরো পরিকাঠামো বাড়ানো উচিত। যেহেতু ব্লকের একটি মাত্র হাসপাতাল তাই এত বড় ব্লকের হাসপাতালকে দ্রুত উন্নতি সাধন প্রয়োজন।
ছবিঃ সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই)