অনিরাপদ আবাসন: ধুপগুড়ি হাসপাতালের বাতাসেই বিষ
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ধুপগুড়ি ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৮: হাসপাতালের বাতাসেই বিষ। অসুস্থতায় সুস্থতার আশা হাসপাতাল চত্বরেই বাতাসেই রয়েছে। পাশাপাশি অনিরাপদ চিকিৎসা পরিষেবা দিতে আসা চিকিৎসকদের আবাসন। ধুপগুড়ি হাসপাতালের বাইরেটা ঠিক জাকজমকপুর্ন হলেও হাসপাতাল চত্বরে থাকা চিকিৎসকদের আবাসনের ঠিক পেছনে পরিস্থিতি কিন্তু ভয়াবহ। ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের চিকিৎসা পরিষেবার প্রথম ঠিকানা ধুপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতাল। আর এই হাসপাতালেই কিনা বাতাস বিষাক্ত। বুধবার হাসপাতালের চিকিৎসকদের আবাসনে ঠিক পেছনে যেতেই ভয়ঙ্কর চিত্র চোখে পড়ল। আবাসনের আশে পাশে রয়েছে বিষাক্ত পার্থেনিয়ামের আস্তানা। এছাড়াও বর্তমান নতুন আবাসনের পেছনে থাকা পুর্ববর্তী আবাসন গুলি এখন সাপ এবং বিষাক্ত পোকামাকড়দের আতুড় ঘর। দীর্ঘদিন আগেই সেগুলি ইতিহাসের রুপ নিলে সেগুলি আর সংস্কার করা হয়নি বা ভেঙ্গে নতুন পরিকল্পনাও গৃহীত হয়নি। তাই সেগুলির দখল নিয়ে দেওয়াল বেয়ে ওঠা পাকুড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাছ। এই আবাসনের ঘরের ভেতরের অবস্থা আরো ভয়ানক। দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার চিন্তা করাই বৃথা,কারন পা ফেলার জায়গাটা হয়তো মানুষের নেই। এই অবস্থাতে ভগ্নদশাগ্রস্থ আবাসন গুলি থেকে মাঝে মধ্যে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে পড়ছে সাপ সহ বিভিন্ন পোকা মাকড়। চরম পরিস্থিততে দাঁড়িয়েও মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। বিঞ্জানের ভাষায় পার্থেনিয়াম বিষাক্ত এবং মারনাত্মক রোগের ইন্ধন। মানুষের অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে এসে এই মুহুর্তে হাসপাতাল চত্বর থেকে হয়তো নিজের শরীরে নিয়ে যাচ্ছেন এই বিষাক্তততা। তবে সবটাই অজান্তে। এই মুহুর্তে শীতকালের দরুন সাপ পোকা মাকড় খুব একটা বেশি চোখে না পড়লেও পুরোনো আবাসন গুলির ভেতরে থাকা নর্দমাগুলিরও বেহাল দশা। যেখানে মশা, মাছিরাও অস্থায়ী বাসা বেধেছে। আর এর প্রভাব কেবল হাসপাতালে নয় পড়ছে হাসপাতালের প্রাচীরের বাইরে থাকা জনবসতি এলাকায়। সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় শাখা থেকেও এই বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে স্মারকলিপি দিয়ে গিয়েছেন। হাসপাতাল চত্বরের এই পরিস্থিতি নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী মন্ডলকে জিঞ্জাসা করতে গেলে প্রথম দিকে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পরে অবশ্য স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন বছরে তিন থেকে চার বার ঐ এলাকা পরিস্কার করানো হয়। কিন্তু যেহেতু লোক বসতি নেই তাই আগাছা ফের কিছুদিনের মধ্যে ভরে ওঠে। এছাড়া পুর্বের আবাসন গুলির বিষয়ে পুর্ত দফতরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে সেগুলি বিপদজনক ঘোষনার জন্য। কিন্তু সে বিষয়টির প্রক্রিয়াকরনের মধ্যে রয়েছে। ফের বর্ষার আগে পরিস্কার করানো হবে।
ছবিঃ সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই)