গঙ্গারামপুরে জুনিয়র উইফস্ প্রোগ্রামের উপরে কর্মশালা
দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই বালুরঘাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই গঙ্গারামপুর ৯ই জানুয়ারি ২০১৮: রক্তালপতা দূর কর, সুস্থ সবল বাংলা গড়। এই অঙ্গিকারকে সামনে রেখে উইফস্ (ডাব্লু.আই.এফ.এস) প্রোগ্রামের উপরে শুরু হয়েছে বিশেষ কর্মশালা। ২০১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত সমস্ত প্রাথমিক এবং উচ্চবিদ্যালয় গুলির পঞ্চম শ্রেনী থেকেও (আগে ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে চালু ছিল) শুরু হচ্ছে হচ্ছে ছাএ-ছাএীদের আই.এফ.এ ট্যাবলেট খাওয়ানর প্রক্রিয়া। এই বিষয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক নোডাল টিচার দের অবগত করতে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে শুরু হয়েছে তিনদিনের বিশেষ কর্মশালা। মঙ্গলবার সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতাল প্রাঙ্গনে আয়োজিত স্বাস্থ্য বিষয়ক এই কর্মশালায় পরিস্থিত ছিলেন গঙ্গারামপুর উওর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুনীল কুমার দাস, মেডিক্যাল অফিসার ডক্টর অভ্রদীপ রায়, ডক্টর এথাসমুদ্দিন, লেডি কাউন্সিলর বিউটি ঘোষ, গঙ্গারামপুর উওর চক্রের অন্তর্গত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। উইফস্ প্রোগ্রামের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করতেগিয়ে মেডিক্যাল অফিসার ডক্টর অভ্রদীপ রায় জানান, আয়রন হিমোগ্লোবিন রক্তের একটি অন্যতম প্রধান উপাদান। এই হিমোগ্লোবিনের কাজ হল শরীরের অক্সিজেন সরবরাহকে নিশ্চিত করা। শরীরে আয়রনের কমতি হলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়। আর হিমোগ্লোবিন কম হওয়া মানেই হল শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহে ব্যঘাত ঘটা। যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম অক্সিজেন পায় তখন শরীর নিস্তেজ বোধ করে। কোনো কিছুতেই উৎসাহ আসে না। ক্লান্তিবোধের উপসর্গ দেখা দেয়। এবিষয়ে ডক্টর এথাস মুদ্দিন জানান, উচ্চ বিদ্যালয় গুলিতে ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে এই প্রকল্প চালু ছিল।
জুনিয়র উইফস্ প্রোগ্রামের প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ছাএ-ছাএী দের ও প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে গোলাপী আয়রন ও ফোলিক অ্যসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা জল সহকারে মিডডেমিল খাবার পরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবেন। এবং প্রতিমাসে স্বাস্থ্য দফতরের এ.এন.এম বিদ্যালয় থেকে ট্যাবলেট সেবনের রিপোর্টটি সংগ্রহ করবেন। লেডি কাউন্সিলর বিউটি ঘোষ জানান, রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম প্রকলর মধ্যে স্কুলের পড়ুয়াদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সুবিধা দেওয়া হয়। অন্বেষা ক্লিনিক দ্বারা চলছে মেয়েদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত সুবিধা এবং মানসিক কাউন্সিলিং। বিশেষ করে বয়:সন্ধি কালের মেয়েদের ক্ষেত্রে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। এবিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারীক এর দফতর সূএে জানা গেছে, তিনদিনের এই কর্মশালায় ব্লকের অন্তর্গত ৩৪৩ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা অংশ নিচ্ছেন।
ছবিঃ দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই)