ফালাকাটায় এক বছর পর নতুন বছরে ছেলেকে কাছে পেল বাবা মা
অরুনাংশু মৈত্র (টী.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ফালাকাটা ৮ই জানুয়ারি ২০১৮: এক বছর পর নতুন বছরে ছেলেকে কাছে পেল বাবা মা। জেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জলপাইগুড়ি ইন্সপায়ার এর উদ্দোগে ও পুলিশের সহোযোগিতায় প্রায় এক বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ১০ বছরের নাবালক ছেলেকে কাছে পেয়ে খুশি ফালাকাটার গোপনগড়ের প্রদীপ দাস ও শুক্লা দাস। প্রদীপ দাস জানান গতো বছর জানুয়ারি মাসে পিসার সঙ্গে হোরীদুযার বেড়াতে গিয়ে গতো ১৮/০১/২০১৭ তারিখ হারিয়ে যায় এর পর সকল প্রকার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক প্রকার ছেলের ফেরার আসা ছেড়েই দিয়ে ছিলেন। এরই মধ্যে কয়েক মাস পর পুলিশ সূত্রে খবর আসে ছেলে আছে শাহাজাহানপুরের হোমে। এই খবরে আনন্দে খুশিতে বুক ভরে ওঠে প্রদীপ দাস ও শুক্লা দাস এর। এর পর সকল নথি পত্র সময় মতো জোগাড় করতে না পেরে হতাশ হয়ে পরে। সে সময় যোগাযোগ হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জলপাইগুড়ি ইন্সপায়ার এর সভপতি প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর সাথে। তাদের সকল বিষয় শুনে জলপাইগুড়ি ইন্সপায়ার এর উদ্দোগে ও আর্থিক সহায়তায় নতুন বছরে বাবা মায়ের হাতে তাদের ১১ বছরের নাবালক ছেলেকে তুলে দিল জলপাইগুড়ি ইন্সপায়ার এর সভপতি প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী ও সম্পাদক রক্তিম তালুকদার। প্রদীপ দাস বলনে, আমরা আমাদের ছেলেকে আবার কাছে পাব সেটা কোনদিন ভাবতেই পড়িনি। কিন্তু এই প্রিয়াঙ্কা দির জন্য ফিরে পেলাম। আমাদের আশীর্বাদ রইল দিদির প্রতি। এই সংগঠন এগিয়ে যাক। জলপাইগুড়ি ইন্সপায়ার এর সভপতি প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী ও সম্পাদক রক্তিম তালুকদার বলেন, আমরা একদিন গাড়িতে আসার পথে কথায় কথায় বিষয়টি জানতে পারি এর পর উদ্দোগি হই বাবা মায়ের কোলে ছেলেকে ফিরিয়ে দেবই। পুলিশের সহোযোগিতায় বাবা মায়ের কোলে ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত। হারিয়ে যাওয়া কিশোরটি বলে, আমিহোরীদুযারে ট্রেনি বরেলি স্টেশনে পুলিশ আমার নাম ঠিকানা জানতে চাইলে আমি বলি। তখনে আমাকে হোমে নিয়ে রাখে, সেখান থেকে আবার নিয়ে শাহাজাহানপুরের হোমে নিয়ে যায় আমাকে। আমি সেখানে ভালই ছিলাম। সেখানে লেখা পরাও করতাম। আর বাবা মায়ের কথা মনে পড়ত। আজ আমি সকলকে পেয়ে খুব খুশি।
ছবিঃ অরুনাংশু মৈত্র (টী.এন.আই)