আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় এফ.পি.ও এর ভুমিকা অতি প্রশংসনীয়
অরুনাংশু মৈত্র
আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার ফারমার্স প্রডিউসার অর্গানাইজেশনের (এফ.পি.ও) কার্যাবলীতে জোয়ার এসেছে। ন্যাবার্ড যেমন তাদের সাহায্য করছে তেমনি শজগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অ্যাগ্রো-মার্কেটিং দপ্তর, রেগুলেটেড মার্কেটিং দপ্তর, ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর, কৃষি বিভাগ, ইউনিয়ন ব্যাংক, উত্তর বঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাংক, সেন্ট্রাল ব্যাংক ইত্যাদি। ২৫টি এফ.পি.ও দুই জেলাতেই ব্যাপক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। সুপারি বাগান, গোল মরিচ চাষ, আদা-হলুদ উৎপাদন, চা বাগান তৈরি এবং উৎপাদন, পোল্ট্রি ফার্ম, উন্নত মানের গাভী পালন, ঘী-ছানা-মাখন উৎপাদন, ছাগল পালন, মৎস চাষ, কেঁচো সার তৈরি, পালঙ্গ-মুখী কচু-ওল চাষ, কালো নুনিয়া ধান, অ্যাজোলা চাষ করছে এফ.পি.ও সদস্যগন। প্রত্যেকটি এফ.পি.ও এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১০৫ থেকে ৫০৩ জন করে হয়ে গিয়েছে এতদিনে। সদস্যদের কাজে উন্নত মানের প্রযুক্তি এসেছে।
প্রযুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টার অফ অ্যাগ্রিকালচার, রামসাই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রোগ্রাম কো-অরডিনেটর ডঃ বিপ্লব দাস পুনাই সহযোগিতা করছেন। বর্তমানে এফ.পি.ও গুলি নিজস্ব অফিস তৈরি করেছে। তাদের অফিসে ফার্নিচার, কম্পিউটর সবই রয়েছে। সকল সদস্যগন সক্রিয় ভাবেই কাজ করে থাকে। মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কোন রকম অসুবিধা নেই। এই কাজে সর্বদা সাহায্য করে চলেছে জলপাইগুড়ি জেলার ডিডিএম শ্রী গণেশ চন্দ্র বিশ্বাস এবং আলিপুরদুয়ারের ডিডিএম আশিস দাস মহাশয়। প্রতেক এফ.পি.ও এর তিন থেকে চারটি করে বিজনেস প্ল্যান তৈরি করতে হয়। অ্যাকাউন্টিং, প্রোডাকশনস, মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ে শিবনাথপুর যুব সংঘ এর দ্বারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে এফ.পি.ও সদস্যরা। কোন কোন এফ.পি.ও জেলার ‘সুফল-বাংলা’ স্টলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্যে কলকাতায় সফল-বাংলার ডিরেক্টরের কাছে আবেদন পত্র জমা দিয়েছে। এফ.পি.ও সদস্যদের মধ্যে অনেকেই হয়ত ভবিষ্যতে তাদের জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত পণ্য সুফল-বাংলা স্টলের মাধ্যমে বিক্রয় করবে। সদস্যদের মাটি পরীক্ষার কাজও চলছে। এই কাজে এলাকার বিধায়ক অনিল অধিকারিও সাহায্য করেছেন। এগিয়ে এসেছেন ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রীমতী সন্ধ্যা বিশ্বাস। এফ.পি.ও এর এই কাজগুলি তদারকি করছেন ‘স্পাইস’ এর পক্ষ থেকে শ্রী রতন রায়, নিরঞ্জন রায় ডাকুয়া, নারসিৎ কামাল, নুরুল হাসান, তারাপদ বর্মণ প্রমুখ।