কুশমণ্ডিতে জেলা ভিত্তিক লোকশিল্পিদের তিনদিনের বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা
দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই বালুরঘাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই বালুরঘাট, ০৯ই ডিসেম্বর ২০১৭: দক্ষিন দিনাজপুর জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে জেলা ভিত্তিক লোকশিল্পিদের তিনদিনের বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হল কুশমন্ডির ব্লক কমিউনিটি হলে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান লোকশিল্পীর দল উপস্থিত হন এই কর্মশালায়। সরকারি নানান প্রকল্পগুলি কিভাবে জনসাধারণের সামনে প্রচার ও নানান বিষয়ের সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেবে লোকশিল্পীরা তাই নিয়ে এই কর্মশালা দক্ষিন দিনাজপুর জেলা প্রসাশনের।কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে আরও বেশি মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রচারের আলোতে। তবে মাইকিং বা ব্যানারে সীমাবদ্ধ না থেকে এবার এই প্রকল্পগুলি জন সন্মুক্ষে আনা হচ্ছে লোকশিল্পীদের মাধ্যমে। তথ্য ভিত্তিক গান রচনা ও তা পরিবেশনের আগে শিল্পীদের নিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হল একটি বিশেষ কর্মশালা। সরকারী ভাতার আওতায় থাকা লোকশিল্পীদের গানের মান বাড়ার পাশাপাশি জনসহায়ক প্রচার সার্থক হবে এই পরিকল্পনায়। জানাগেছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডিতে আয়োজিত এই কর্মশালার আয়োজক জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক দফতর। শুক্র শনি ও রবিবার তিন দিন ধরে চলবে এই কর্মশালা।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই জেলার মূলত খনগান মুখানৃত্য আদিবাসী নাঁচ বাউল ও ভাওয়াইয়া শিল্পীরা এতে অংশ নিয়েছেন। কুশমন্ডির ব্লক কমিউনিটি হলে এদিন সকাল ১১টা ৩০মিনিট নাগাত প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে “জেলা ভিত্তিক লোকশিল্পীদের কর্মশালা ও জেলার নিজস্ব লোক আঙ্গিকের কর্মশালা”র শুভ সূচনা করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক কৃত্তিবাস নায়েক। মহকুমা শাসক দেবাঞ্জন রায়, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীক সহ বিশিষ্ট জনেরা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক শান্তনু চক্রবর্তী জানিয়েছেন জেলায় তালিকাভুক্ত লোকশিল্পী রয়েছেন পাঁচশ জন। এঁদের কেউ খনগান, ভাওয়াইয়া, আদিবাসীনাচ, বাউল কেউ আবার মুখানৃত্যের শিল্পী। প্রথম দিন অর্থাৎ শুক্রবার ভাওয়াইয়া আদিবাসী নাচ, বাউল ও মুখানৃত্যের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। বাকি দুইদিন ধরে চলবে জেলার নিজস্ব খনগানের কর্মশালা। এখানে মূখ্যমন্ত্রীর তথা রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের তথ্য সম্বলিত একটি কর বই দেওয়া হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের। তা পাঠ করার পর সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প যেমন সবুজশ্ৰী সবুজসাথী যুবশ্রী ও কন্যাশ্রী নিয়ে গান রচনা ও তাতে সুর দেওয়া এমনকি গেয়েও শোনাবেন অংশগ্রহণকারী লোকশিল্পীরা। এক্ষেত্রে কারও গান সিলেক্ট হলে, সেই গানই সরকারি প্রচারে ব্যবহার করা হবে বলেও তথ্য সাংস্কৃতিক আধিকারিক জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কুশমন্ডি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীক অমুল্য চন্দ্র সরকার জানান, দক্ষিন দিনাজপুর জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে জেলা ভিত্তিক লোকশিল্পিদের তিনদিনের বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠানের অজ শুভ সূচনা হয়েছে যা আগামী রবিবার পর্যন্ত চলবে।
ছবিঃ দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই)