পণপ্রথা বন্ধ করতে সচেতনার জন্যে সাইকেল পরিক্রমায় ভাওসাহিব আজ ইসলামপুরে
সুশান্ত নন্দী (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ইসলামপুর, ২৪সে অক্টোবর ২০১৭: পন প্রথা এবং কন্যা ভ্রূণ হত্যা বন্ধ করতে দেশ জুড়ে সাইকেলে চেপে পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে প্রচার করছেন ভাওসাহিব ভাওয়ার নামে এক সমাজ কর্মী।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়; এক বা দুবছর নয়,লাগাতার প্রায় পঁচিশ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর ধারাবাহিক ভাবে সচেতন করে চলছেন তিনি।আর এভাবেই একবার কিংবা দুবার নয়, ইতিমধ্যেই পাঁচবার ভারতবর্ষের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল পরিক্রমা করা হয়ে গেছে তার।যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এভাবেই মানুষকে সচেতন করে যাবেন তিনি।সম্প্রতি সিকিম থেকে সাইকেলে করে রওনা হবার পর মঙ্গল বার সকালে তিনি ইসলামপুর এসে পৌঁছান।
কথা হচ্ছিল তার সাথে। ভাওসাহিব ভাওয়ার এর বাড়ী মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার হাসনাবাদ এলাকায়। ২০০৭ এর পয়লা জানুয়ারি তিনি সংশ্লিষ্ট বার্তা নিয়ে সমগ্র ভারত পরিভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।সম্প্রতি সিকিম থেকে বেশ কয়েকটি রাজ্য পেরিয়ে কন্যাকুমারীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।তিনি জানান,তার তেমন ভাবে কোনও পিছু টান নেই।বাড়িতে মা, বাবা এবং অন্যান্যরা থাকলেও বছরে দুয়েকবার শুধু যোগাযোগ রাখেন।সাইকেলে করে ঘুরতে ঘুরতেই যে কখন বছরের পর বছর কেটে যায় তা যেন তিনি নিজেও বুঝতে পারেন না।তাই বাড়িতেও তার যাওয়া হয়না।এই কাজের জন্য তিনি যেন নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।তাই তিনি কোনও পিছুটান রাখতে চাননা।তার নেই মোবাইল ফোনও।বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার সহযোগিতায় তার থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্ত হয়েও যায়।যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এভাবেই সচেতনতার বার্তা নিয়ে ভারতবর্ষের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত এভাবেই পরিভ্রমণ করতে চান তিনি।কারণ তিনি মনে করেন একবার পনপ্রথা বন্ধ ও কন্যা ভ্রূণ হত্যা না করার বার্তা ছড়িয়ে দেবার পর তা কতটা কার্যকরী হলো তা দেখা প্রয়োজন।এমনকি একটা বিষয় নিয়ে মানুষের কাছে বার বার গেলে তা সাধারণ মানুষের মনে রেখাপাত করবে।এমনকি তিনি সচেতন করে আসার পর আদৌ তারা সচেতন হয়েছেন কিনা সেটাও খোঁজ খবর নিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
ছবিঃ সুশান্ত নন্দী (টী.এন.আই)