মাত্রাতিরিক্ত ভরতি ফি নেবার অভিযোগ বানারহাটের সরকারি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, বানারহাট, ৭ই অগাস্ট, ২০২১: লক ডাউনের পরিস্থিতিতেও চা বলয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভরতি ফি নেবার অভিযোগ উঠল বানারহাটের একটি সরকারি হিন্দি মাধ্যমের বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বানারহাটের আদর্শ বিদ্যামন্দির হিন্দি হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ডেভেলপমেন্ট ফি বাবদ অতিরিক্ত ৫০০ টাকা এবং ল্যাবরেটরি বাবদও অতিরিক্ত ফি আদায় করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে ছাত্রছাত্রীদের এই কঠিন পরিস্থিতিতেও ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা ভরতি ফি দিতে হচ্ছে। এর প্রতিবাদে শনিবার বিদ্যালয় এসে বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন অভিভাবক। বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং বাংলা পক্ষ সংগঠনের সদস্যরা। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এই অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে জানান আপাতত ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, প্রধানশিক্ষক এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় সহকারি প্রধান শিক্ষকের সাথে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা কথা বলেন। এ বিষয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি লালন কুমার ঝা বলেন, ছাত্রছাত্রীরা এই বর্ধিত ফি’র ব্যাপারে আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা এদিন সহকারী প্রধান শিক্ষক এর সাথে দেখা করি এবং তাদের সরকার নির্ধারিত ফি নিয়েই ভর্তি প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানাই। আশা করছি সমস্যার সমাধান শীঘ্রই হয়ে যাবে। ‘বাংলা পক্ষ’ এর বানারহাট ব্লক সভাপতি চয়ন সরকার বলেন “বহিরাগত প্রধানশিক্ষক এখানে এসে ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুম করছেন। বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করা না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।”
এ ব্যাপারে বানারহাট আদর্শ বিদ্যামন্দির হিন্দি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্র কুমার ঝা বলেন, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজুলেশন করেই এই বর্ধিত ফি গত পাঁচ বছর ধরে নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবক এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন গুলির আপত্তির কারণে আপাতত ভর্তি বন্ধ রাখা হল। এই মুহূর্তে প্রধান শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন, তিনি কাজে যোগ দিলে ফের ম্যানেজিং কমিটির সভা ডেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জলপাইগুড়ি জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক বালিকা গোলে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ডেভলপমেন্ট ফি হিসেবে যে অতিরিক্ত অর্থ সরকারী বিদ্যালয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসছে, সত্যিই যদি তা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা একেবারেই ঠিক হয়নি। আমি বিদ্যালয়কে নির্দেশ দিচ্ছি অবিলম্বে সেই বর্ধিত ফি ছাত্র-ছাত্রীদের ফিরিয়ে দেবার জন্য এবং গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
ছবি: সংবাদচিত্র