শিলিগুড়ির প্রাইভেট হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ

শ্রী নাম কৃষ্ণ দাস

সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ আপনারা দ্রুত কেন্দ্রীয় আয়ুষ্মান/রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে করোনা চিকিৎসা ঘোষণা সাথে বেসরকারি নার্সিং হোম গুলোতে মনিটরিং করার জন্য সরকারি পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি রাখার জন্যে অনুরোধ জানাই প্রতিটি নার্সিংহোমে। এই প্রতিনিধির স্বরূপ একজন ভিজিল্যান্স অফিসারও হতে পারে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে এটাও অনুরোধ যদি কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এই রাজ্যে লাগু করা যায় তাহলে আঁখেরে মানুষের লাভ হবে। সরকারি প্রতিনিধির মূলত কাজ যা হতে পারে – সরকারি আয়ুষ্মান ভারত/স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা সকল জনসাধারনের জন্য যে ঘোষণা হয়েছে সেটা প্রদান করানোর জন্যে পদক্ষেপ নেওয়া, হাসপাতালের বিল, অ্যাডমিশন, বেড সংক্রান্ত বিষয় গুলোর ওপরের নজর রাখা, কোনো ভাবেই যেন ৫০ হাজার টাকার বেশি যেন ক্যাশ পেমেন্ট না হয়, এটাও নিশ্চিত করা। প্রতি নিয়ত দেখা যাচ্ছে করোনা রোগীর পরিবারগুলো তাদের আপনজন হারানোর সাথে আর্থিকভাবে সর্বহারা হয়ে যাচ্ছে। কিছু মানুষ পরিবারের সদস্যদের ফিরে পেলেও আর্থিকভাবে সর্বশান্ত হচ্ছে বিল মিটাতে গিয়ে। বিভিন্ন টেস্টের নাম করে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা বিল হচ্ছে সেটা দেখা খুব প্রয়োজন এই সরকারি প্রতিনিধির। এই কঠিন সময়ের যে সকল ডাক্তার, নার্স বা স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত ওনাদের ঋণ কখনোই শোধ করা যাবে না। এই অবস্থাতেও নার্সিংহোম গুলোর ওপর সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা খুবই প্রয়োজন বোধ করছি। নার্সিং হোমের বাড়তি বেড বা আইসিইউ বাড়াতে যে খরচ হচ্ছে সেটা সরকারের কাছে অগ্রিম নেওয়া যেতে পারে বা সরকারের সেটা দেওয়াই উচিত। কেদ্রীয় সরকারের টাকা না থাকলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে করোনার চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যায় করার জন্য টাকা ছাপিয়ে রাজ্য সরকার গুলিকে সাহায্য করা যেতে পারে। এতে সাধারণ মানুষের ওপর বিশাল অঙ্কের বিল কমে যাবে। এতে বিল অন্তত ৮০% কমার সম্ভাবনা থাকছে। কেন্দ্রীয়/রাজ্য সরকার দ্বারা বিল কমানোর জন্য আয়ুষ্মান ভারত/স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা দেওয়ার জন্য বলছেন। এটা খুব ভালো উদ্যোগ, কিন্তু মনিটরিং যদি না করা হয় তবে বিলটা কিছু দিনের মধ্যে ২০ লক্ষ পৌঁছাবে। অনেকটা ফ্লাইটের টিকিটের দামের মত, যত রোগী বাড়ছে ততো বেড ভাড়া বাড়ছে। যদি কেন্দ্রীয়/রাজ্য সরকার মিলেও যদি ১০ লক্ষ দেওয়াও হয় তবুও তারা রোগীর পরিবারের কাছে থেকে আরো বাড়তি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে নেবে।

লেখক, শিলিগুড়ি ইস্কন মন্দির কমিটির জন সংযোগ আধিকারিক

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!