ঢুকল ‘জালি নাম’, ধরা পড়ল ভ্যাক্সিন দুর্নীতি – সামনে এল ডুয়ার্সের স্কুল
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, বানারহাট, ২৩শে মে, ২০২১: ভ্যাক্সিন প্রাপকদের তালিকা প্রস্তুতিতে দূর্নীতির অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট গার্লস হাই স্কুলে। শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের নামের তালিকায় ঢুকল বহিরাগতদের নাম। ভ্যাক্সিন প্রাপকদের নামের তালিকা তৈরিতে বড় দূর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সদস্যরা সরব হয়েছেন। যদিও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন তালিকা প্রস্তুতিতে হওয়া ভুল সংশোধন করে নেওয়া হবে৷
রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্য তালিকা প্রস্তুতির নির্দেশিকা শিক্ষা দপ্তর জারি করেছিল। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলি সেখানে কর্মরত স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের তালিকা শিক্ষাদপ্তরে পাঠায়। বানারহাট উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পাঠানো এই তালিকাতে এমন চার জনের নাম রয়েছে যারা বিদ্যালয়ের সাথে কোনওভাবেই যুক্ত নন। তালিকাতে দেখা যায় চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক হিসেবে প্রিয়াঙ্কা সরকার, সুব্রত সরকার, দীপা সরকার এবং চুক্তিভিত্তিক করনীক হিসেবে সঞ্চিতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই অবৈধ ভাবে তাদের নাম শিক্ষাদপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্রীমতী পায়েল মল্লিক বলেন “বিদ্যালয়ের তরফ থেকে পাঠানো তালিকায় এমন চার জনের নাম রয়েছে যারা বিদ্যালয়ের কাজকর্মের সাথে কোনও ভাবেই যুক্ত নন, তারা বিদ্যালয়ের কর্মী নন। বিষয়টা অদ্ভুত লাগছে, এমনটা হওয়া উচিৎ ছিল না। এমনটা করা অন্যায় হয়েছে।” তিনি বলেন বিদ্যালয়ের কর্মী হিসেবে বহিরাগতদের নাম শিক্ষাদপ্তরে কারা পাঠালেন তা তিনি খোঁজ নিয়ে জানবেন এবং এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বিদ্যালয়ের করনীক অম্বরিশ সরকার বলেন যে চার জনের নাম তালিকায় রয়েছে তারা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও অফিসের কাজের সাথে অনিয়মিত ভাবে যুক্ত। তারা বিদ্যালয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া তালিকা অনুযায়ীই এই চার জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এই বিষয়ে যা বলার তা প্রধান শিক্ষিকা বলবেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা শ্রীমতী কাজরি ঘোষ বলেন বিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত নন এমন চার জনের নাম তালিকায় নথিভুক্ত হয়ে গেছে, ‘এটি অফিশিয়াল মিস্টেক’৷ এই তালিকা সংশোধন করে নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জলপাইগুড়ি জেলার আহ্বায়ক শ্রী অঞ্জন দাস বলেন স্কুলের পক্ষ থেকে ডি.আই অফিসে যে তালিকা পাঠানো হয়েছিল সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। ‘জালি নাম’ সেই তালিকায় থাকলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিৎ। এমনটা হয়ে থাকলে খুবই অন্যায় হয়েছে বলে তিনি জানান।
ছবি: ফাইল চিত্র