নাগরাকাটায় বিজেপি আর তৃনমূলকে তুলোধুনা করলেন অধীর চৌধুরী
অঙ্কিতা সেন (টি.এন.আই বানারহাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, নাগরাকাটা, ৬ই মার্চ, ২০২১: মঙ্গলবার দুপুরে নাগরাকাটার ইউরোপীয়ান ক্লাবের মাঠে নাগরাকাটা বিধানসভা আসনের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী সুকবীর সুব্বার সমর্থনে সভা করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। সভা থেকে তিনি বিজেপি এবং তৃণমূলকে ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ করার পাশাপাশি ক্ষমতায় এলে চা শ্রমিকদের জমির অধিকার প্রদান, ‘ন্যায় প্রকল্প’ চালু শ্রমিক সহ সকলের নুন্যতম মজুরি নির্ধারণ ও কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেন। এছাড়াও সভাতে বক্তব্য রাখেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য জিয়াউর আলম।
সভা থেকে সিপিএম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিয়াউর আলম বলেন রাজাকারদের দল ও তাদের সমর্থক আসাদুদ্দিন ওয়েসির মিম’কে বিজেপি এবং আর.এস.এস তাদের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করছে, কিন্তু বাংলার মানুষ হায়দ্রাবাদের নিজামসাহী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে। তাই তারা মানুষের কথা ভেবে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক জোট বানিয়ে লড়ছেন। তিনি নোট বন্দী, ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি, কৃষি বিল নিয়ে তিনি কেন্দ্র সরকারকে তুলোধোনা করে বলেন আর.এস.এর পরিকল্পনা অনুযায়ী ইচ্ছা মতোও কেন্দ্র সরকার সংবিধান পরিবর্তন করছেন এবং আইন পাশ করছেন। জিয়া বাবু বলেন কংগ্রেস ও বাম জোট এবার ক্ষমতায় এলে ‘আন রেগুলেটেড’ জমিতে বসবাসকারী চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা প্রদান তারাই করবেন।
অধীর চৌধুরীও চা শ্রমিকদের বলেন ক্ষমতায় এলে শ্রমিক ও আর্থিক ভাবে দূর্বল শ্রেনীর জন্য তারা ন্যায় প্রকল্প চালু করবেন। এর মাধ্যমে পরিবার পিছু ৫৭০০ টাকা মাসে প্রদান করা হবে। অধীর বাবু বলেন তৃণমূলের নেতা কর্মীদেরই উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া এই আমলে কন্ট্রাক্টর ঠিকাদারদেরও উন্নয়ন হয়েছে৷ সাধারণ মানুষের কোনও উন্নয়ন হয় নাই। বিজেপি আর তৃণমূল, এরা উভয়েই বিভাজনের রাজনীতি করে নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থ হাসিল করতে ‘কমন এজেন্ডা’ নিয়ে কাজ করছে। ভারতে যতক্ষন কংগ্রেস ও তার সহযোগী দল রয়েছে – ততদিন তারা দেশকে টুকরো হতে দেবেন না। কংগ্রেস দূর্বল হলেই দেশে সাম্প্রতিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। অধীর বাবু বলেন করোনা ও লকডাউনের কারনে সমাজের বৃহত্তর অংশের হাতে এখন টাকা নেই। বেকারত্ব বাড়ছে। রাজ্যে এখন ৫ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। একটি পদে স্থায়ী নিয়োগ করার বদলে রাজ্য সরকার তিন-চার ভাগ বেতনে অস্থায়ী ভাবে চাকরি দিচ্ছে। সিভিক পুলিশের চাকরির জন্যও তিন-চার লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করে বলেন এই কারনেই এই কারনেই রাস্তায় পুলিশের দৌরাত্ম্য বেড়েছে, তারা চাকরি পাওয়ার টাকা রাস্তা থেকে তুলছে। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যা বানালেও সেখানে গিয়ে প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর পাওয়া যায় না, কোনও সমস্যার সমাধান হয় না বলে অধীর বাবু অভিযোগ করেন। অধীর বাবু এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।
ছবি: অঙ্কিতা সেন (টি.এন.আই)