নির্বাচনে চুক্তিভিত্তীক কর্মী নিয়োগে ধোঁয়াশা সেই থেকেই গেল

বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, কলকাতা, ৬ঠা মার্চ, ২০২১: রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের অন্তর্গত ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন পর্ষদ’ এর অধিন কর্মরত শিক্ষক-প্রশিক্ষকদের নির্বাচনের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক (বৃত্তিমূলক শিক্ষা) এবং স্বল্পমেয়াদি কোর্সের সাথে পাঠদানের সাথে যুক্ত মোট 13862 জন শিক্ষক-প্রশিক্ষক রয়েছেন। তারা পার্ট টাইম শিক্ষক, কন্ট্রাকচুয়াল শিক্ষক, পার্ট টাইম প্রশিক্ষক, কন্ট্রাকচুয়াল প্রশিক্ষক নানান পদে কাজ করলেও এদের সকলের নিয়োগ পর্ষদ নির্ধারিত আদেশনামা অনুসারে চুক্তিভিত্তিতে হয়েছিল। রাজ্যের নির্বাচন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল – এই বছর নির্বাচনের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করা যাবে না। এই নির্দেশিকা অনুসারেই কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের অন্তর্গত শিক্ষক-প্রশিক্ষকদের নির্বাচনের কাজের থেকে অব্যাহতি চেয়ে সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়। বৃত্তিমূলক শিক্ষক – প্রশিক্ষক ও কর্মচারী সমন্বয় সমিতির রাজ্য সভাপতি জানান – উচ্চমাধ্যমিক সমতুল্য একটি রেগুলার ডিগ্রী ২০০৫ সাল থেকে রাজ্যে চলছে, তবু গোটা রাজ্যে এই দপ্তরে এক জনও স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয় নাই।

চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য নির্ধারিত নুন্যতম বেতনকাঠামো পর্যন্ত সরকার আমাদের প্রদান করছে না, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বিভাজন মিটিয়ে শিক্ষক-প্রশিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতিও মেলেনি। আমরা সকলেই বিগত দশ বছরের বেশি সময়ে কর্মরত থাকাকালীন বিভিন্ন নির্বাচনে কাজ করেছি। কিন্তু এবার আমরা বেগার খাটতে আর রাজি নই৷ আমাদের দিয়ে কাজ করাতে হলে সরকার হয় আমাদের স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি ও বেতন প্রদান করুক অথবা চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে নির্বাচনের কাজ থেকে অব্যাহতি দিক। তবে বেশ কিছু জেলা জেলার নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যারা বাস্তবিক অর্থেই চুক্তিভিত্তিক কর্মী (পিওরলি কন্ট্রাকচুয়াল), কেবল তাদেরই নির্বাচনের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হলেও, যাদের অবসরকালীন বয়স ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ – সুবিধা নির্ধারিত রয়েছে, যাদের তথ্য সরকারের কাছে পঞ্জিকৃত যেমন প্যারা টিচার কিম্বা ভোকেশনাল টিচার – ইন্সট্রাক্টর, তাদের নির্বাচনের কাজে নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আসন্ন নির্বাচনে চুক্তিভীত্তিক কর্মী নিয়োগে এক প্রকার ধোঁয়াশা থেকেই গেল।

ছবি সৌজন্যে: স্ক্রল.ইন

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!