এলআইসি’র বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করার পথে সংস্থার জলপাইগুড়ির কর্মচারী সংগঠন
টি.এন.আই নিউজ সার্ভিস (টি.এন.এস)
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, মাথাভাঙা, ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২০: ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত জুন মাস থেকে। রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থাটিকে শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত করার জন্য উপদেষ্টা সংস্থা, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছ থেকে দরপত্র চেয়েছিল ডিপার্টমেন্ট অফ পাব্লিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন ফান্ড ম্যানেজমেন্ট সংস্থারাও মনে করছে এলআইসি-র শেয়ার বাজারে ছাড়া হলে তা ভারতের সর্ববৃহৎ আইপিও হবে। এই প্রস্তাব ঘোষণার পরপরই ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের বহু কর্মী এবং কর্মী সংগঠন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। টিএনআই এর কাছে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এলআইসি জলপাইগুড়ির বিভাগীয় বিমা কর্মচারী সমিতি জানিয়েছে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, দেশের আর্থিক স্বয়ম্ভরতার পরিপন্থী। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ এলআইসি’র বেসরকারীকরনের প্রথম ধাপ। এলআইসি জলপাইগুড়ির বিভাগীয় বিমা কর্মচারী সমিতি তাদের প্রতিবাদী প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয় – যদি কোন অতিরিক্ত মূলধনের দরকার হয়, এলআইসি তার বিপুল সম্পদ থেকেই তার ব্যাবস্থা করতে পারে, যেমন ২০১১ সালে আইন পরিবর্তন হবার পর এলআইসি’র মূলধন ১৯৫৬ সালের ৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি করা হয়, এবং ওই অতিরিক্ত অর্থ এলআইসি নিজস্ব তহবিল থেকেই সংগ্রহ করেছিল, সে জন্যে আইপিও করার দরকার হয়নি। এলআইসি জলপাইগুড়ির বিভাগীয় বিমা কর্মচারী সমিতি আরও জানায় – সংসদের আইন তৈরির মাধ্যমে ১৯৫৬ সালে এলআইসি’র জন্ম। সেই আইন অনুযায়ী প্রতিবছর সরকার নির্ধারিত সংস্থাকে দিয়ে এলআইসি’র অডিট করা হয়। সমস্ত আয়-ব্যায়ের হিসাব সংসদে রাখা হয় এবং আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে বেনিয়মের জন্যে অনেক জরিমানা করা হয়েছে। তবে এলআইসি’র এখনো অবধি এক টাকাও জরিমানা হয়নি। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এলআইসি জলপাইগুড়ির বিভাগীয় বিমা কর্মচারী সমিতি বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের আবেদন রাখে তারা যেন পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এগিয়ে আসে যৌথ ভাবে কেন্দ্রের এলআইসি’র বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়াকে প্রতিহত করার জন্যে।
ছবি সৌজন্যে: নির্মাল্য ঘোষ (জলপাইগুড়ি)