চা বলয়ে হাতির হানা রুখতে নজরমিনার তৈরির উদ্যোগ
অঙ্কিতা সেন (টি.এন.আই বানারহাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা জলপাইগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, বানারহাট, ৫ই মার্চ ২০১৯: ডুয়ার্সের চা বলয়ে বাড়তে থাকা হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতি রুখতে নজরমিনার তৈরির উদ্যোগ নিল বন-দফতর। সাধারণত ধান পাকার মরসুমে পাকা ধানের লোভে এবং সারাবছর শ্রমিক মহল্লায় হানা দিয়ে সহজে অধিক ক্যালোরি যুক্ত এবং মুখরোচক খাবারের জন্য হাতির হানার ঘটনা ঘটে থাকে। বন-দফতরের পক্ষ থেকে সীমিত পরিকাঠামো নিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় নজরদারি চালানো ও হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময়েই সম্ভব হয়ে ওঠে না, ফলে হাতির হানায় নিয়মিত ভাবেই ফসল ও শ্রমিক আবাসের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি জীবনহানির ঘটনাও ঘটে থাকে। বেশিরভাগ সময়েই ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় হাতির হানায় বাসিন্দাদের হতাহতের ঘটনাগুলি ঘটে। এই ধরনের ঘটনা রোখার জন্য বন-দফতরের উদ্যোগে নজরমিনার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন-দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে ডুয়ার্সের কারবালা চা বাগান, মোরাঘাট চা বাগান, মোগলকাটা চা বাগান, ডায়না বস্তি এবং আপার কলাবাড়ি এলাকায় নজরমিনার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নজরমিনার গুলিতে বনদফতরের পক্ষ থেকে কেউ পাহারার দায়িত্বে না থাকলেও স্থানীয় বাসিন্দা ও চা বাগানের শ্রমিকদেরই প্রাথমিক পর্যায়ে হাতির গতিবিধির ওপর নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হবে। জঙ্গল থেকে হাতি বেড়িয়ে লোকালয় বা ফসলের ক্ষেতের দিকে যাওয়ার সময়েই নজরমিনারে পাহারার দায়িত্বে যারা থাকবেন তারা দ্রুত হাতিদের অবস্থান বনকর্মী ও স্থানীয় অধিবাসীদের জানিয়ে দিতে পারবেন। ফলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই রোখা যাবে। বনদফতরের বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জের রেঞ্জার অর্ঘ্যদীপ রায় বলেন এদিন নজরমিনার গুলি নির্মান করার জন্য প্রাথমিক ভাবে জায়গা নির্বাচন এবং যেখানে নজরমিনার গুলি তৈরি হবে সেই জমির মালিকানা যে চা বাগান ও পঞ্চায়েতের অধিনে রয়েছে তাদের সাথে কথা বলার কাজ শুরু করা হয়েছে। নজরমিনার গুলি নির্মানের জন্য চিহ্নিত জায়গায় জি.পি.এস রিডিং উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
ছবি: অঙ্কিতা সেন (টি.এন.আই)