পার্টটাইম প্রথা অবলুপ্তি এবং আরও দাবীতে অনির্দিষ্টকালের ধরনায় বৃত্তিমূলক শিক্ষকেরা
টি.এন.আই নিউজ সার্ভিস
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, কলকাতা, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯: রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষক-প্রশিক্ষক ও কর্মচারী বৃন্দ আজ থেকে কলকাতার রাজারহাটে কারিগরি ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসলেন। মূলত এই বিভাগে কর্মরত সকলের নুন্যতম যোগ্যতা অনুযায়ী পদ ও বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস, পার্ট টাইমার প্রথার অবসান, বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতি প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত মাসিক বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, অবসরকালীন সুযোগ সুবিধে প্রদান এবং এই বৃত্তিমূলক বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া নানান প্রতিবন্ধকতা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করে এই অবস্থান কর্মসূচী বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে প্রায় দুই হাজার বিদ্যালয়ে “পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন পর্ষদ” নামক স্বশাসিত সংস্থা পরিচালিত উচ্চমাধ্যমিক (বৃত্তিমূলক বিভাগ) পাঠক্রম প্রচলিত রয়েছে।
যদিও এই বিভাগের জন্ম লগ্ন থেকেই কোনও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। কারিগরি বিষয়ে চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষা, অংক, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন প্রভৃতি বিষয়ে আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করে অতি স্বল্প বেতনে তাদের দিয়ে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের ন্যায় কাজ করানো হচ্ছে। এরই পাশাপাশি রাজ্যের যুবক যুবতিদের স্বনির্ভর করতে এই বিভগেই স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণের ও কোর্স করানো হয়। এই কোর্স গুলির পরিবর্তন করে এইগুলিকে বাস্তবউপযোগী এক বছরের কোর্সে রূপান্তরের দাবীও এদিনের ধর্না মঞ্চ থেকে জানানো হয়। ধর্না মঞ্চ থেকে শিক্ষক নেতা দেলোয়ার হোসেন জানান পার্ট টাইম প্রথার অবসান এবং এই বিভাগে কর্মরত সকলের যোগ্যতা অনুযায়ী পদ ও বেতনকাঠামোর পুনর্বিন্যাস এর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ না আসা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল কারিগরি ভবনের সামনে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে এই ধর্না চলবে। সূত্রের খবর সিটু অনুমদিত বৃত্তিমূলক বিভাগের রাজ্য সম্পাদক যেমন এদিন ধর্না মঞ্চে ছিল তেমনি তৃনমূল এর শিক্ষা সেল এর রাজ্য সম্পাদক ও ছিল। এদিন শিক্ষকদের ধর্না কর্মসূচীকে সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন সংখ্যালঘু নেতা মহ: কামরুজ্জামান। আজ রাতেও খোলা আকাশের নিচেই ধর্না কর্মসূচী এখনও চলছে।
সংবাদচিত্র