পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের জেরে ইসলামপুরে বিজেপিতে ভাঙন
দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ইসলামপুর, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০১৮: সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের জেরে ইসলামপুর মহকুমায় বিজেপি শিবিরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যদিও পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির কোন প্রভাবই লোকসভা নির্বাচনে পড়বে না বলে দাবি বিজেপির। জানা গিয়েছে, সদ্যসমাপ্ত দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবিতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি ইসলামপুর মহকুমায় বিজেপি শিবিরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এমনকি কোথাও আবার সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হওয়া বিজেপির সদস্যরা দল ছেড়ে শাসকদল তৃণমূলে যোগদান করছেন। এছাড়াও কংগ্রেস সিপিএম সহ বিভিন্ন বিরোধী দল ভেঙে শাসকদল তৃণমূলে যোগদানে স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবিরকে বেশ চনমনে দেখাচ্ছে। তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে, ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া ব্লকের হিন্দু মহাসভার ব্লক সভাপতি জীবন সিংহ সম্প্রতি ২০০জন অনুগামীদের নিয়ে শাসকদল তৃণমূলে যোগদান করেছেন। পাশাপাশি চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী সদস্য বিজেপির অজিত হালদার ও চোপড়া ব্লকের মধ্য মন্ডল পাড়া বুথের সুমিত্রা হেমরম এবং পূর্ণ বসাকরা চোপড়া বিধানসভার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমানের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করে। পাশাপাশি উল্লেখিত নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক কর্মীসমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ভেঙে তৃণমূলে যোগদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবী তৃণমূলের। সম্প্রতি কংগ্রেস সিপিএম দল ছেড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পাশাপাশি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবিকে দায়ী করছেন গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, চোপড়ায় কোনও বিরোধী নেই, যারা দু-একজন রয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে তারাও এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতে শুরু করেছে। উত্তর দিনাজপুরের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিজেপির সুরজিৎ সেন বলেন, শাসকদল তৃণমূলের অন্তহীন সন্ত্রাসের জেরে কেউ রেহাই পাচ্ছে না, পঞ্চায়েতে ভোট করতে দেয়নি, বুথ ক্যাপচার করেছে, গননাকেন্দ্রে বিরোধীদের ঢুকতে দেয়নি। বোম বন্দুকের সাহায্যে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজ কায়েম করবার পরও যেখানে ভোট করা গিয়েছে সেখানে আমাদের প্রার্থীরা জিতেছে। এখনও আমাদের অনেক জয়ী প্রার্থী গ্রামছাড়া। এর পরও কাউকে তাঁদের প্রানের ভয়ে দলে যোগদান করাতে পারে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। তবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলের প্রভাব কোনোভাবেই এরাজ্যে কেন দেশের কোথাও লোকসভা ভোটে পড়বে না। মোদীজি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।
ছবি: দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)