শিলিগুড়ির ওষুধ ব্যাবসায়িরা এবার ই-ফার্মেসির বিরুদ্ধে সোচ্চার হল
আর. সুব্রত (টি.এন.আই শিলিগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, শিলিগুড়ি, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮: শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। এবার তা বৃহৎ আকার ধারন করছে। ছেয়ে পড়ছে শহর থেকে গ্রামে। মানুষ তা দরাজ হস্তে গ্রহণ করছে। এই ভ্রুকুটি আসলে অনলাইন ওষুধ বিপণনের। বেশ কয়েক বছর আগে শুরু হয়েছিল অনলাইনে কেনা বেচার বিরুদ্ধে দেশজুরে আন্দোলন। পরবর্তীতে অবশ্যই তা কেন্দ্রীয় সরকারের বানিজ্য ম্নত্রক এবং দেশের তাবড় তাবড় ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি করে সেই আন্দোলন কে বেশি এগোতে দেওয়া হয়নি। এবার সেই ছায়া ওষুধ ব্যাবসায়। ওষুধ ব্যাবসায়িদের মতে, অনলাইন ওষুধ কেনা বেচা অর্থাৎ ই-ফার্মেসি এখন রুগীর জীবন নিয়ে ছিনিবিনি খেলছে। তবে এর অন্তরালে আসলে হচ্ছে নিজেদের ব্যাবসায় ক্ষতি। অতি দুষ্কর জীবনদায়ী ওষুধও এখন অনলাইনে পাওয়া যায় বলেই দাবী করে এই নব্য অনলাইন প্রতিষ্ঠান গুলো। এছারাও থাকছে ওষুধের দামের ওপর বিশাল অঙ্কের ছাড়। কয়েক বছর আগেও হত্তা দিয়ে শহররের ওষুধের দোকান মালিকদের করুণার জন্যে বসে থাকতে হত ক্রেতাদের। বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক শ্রী বিজয় গুপ্তা বলেন যে, এই ই-ফার্মেসি শুধু ব্যাবসায়িকে নয় ক্রেতাদেরও ক্ষতি করছে। বিসিডিএ এদের তীব্র বিরধিতা করছে। তিনি আরও বলেন যে যে পদ্ধতিতে ই-ফার্মেসি দ্বারা ওষুধ বিক্রি করা হয় তা নিয়মের পরিপন্থী এবং ওষুধের গুনমানের কোন পরীক্ষাই করা হয় না। এই প্রসঙ্গে বলা যায় যে কেন্দ্রীয় সরকার একটি ড্রাফট রুল নিয়ে এসেছে যার মধ্যে থাকছে দেশের সমস্ত ই-ফার্মেসি গুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণের মাপকাঠি ও রেখাঙ্কন। গতকাল এই ই-ফার্মেসির রমরমার বিরুদ্ধে দার্জিলিং জেলা বি.সি.ডি.এ’র এক বিরাট মিছিলের আয়োজন করেছিল।
সংবাদ চিত্র