রাধিকাপুর তেভাগা লিঙ্ক চালু করা নিয়ে তৃনমূল – সিপিএম তরজা, আন্দোলনের হুমকি
পার্থ চ্যাটার্জি (টি.এন.আই রায়গঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, রাধিকাপুর, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮: রাধিকাপুর – তেভাগা সকালের লিঙ্ক এক্সপ্রেসের বিরোধীতা করছেন বালুরঘাটের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। পনেরো দিনের মধ্যে রেল দপ্তর যদি কোনো সমাধান সূত্র না বের করতে পারে তাহলে আবার রেল অবরোধের পথে হাঁটবে বামপন্থীরা। গত বৃহস্পতিবার সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে এক সংবাদিক বৈঠকে এমনি কথা জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আনায়ুরুল হক। সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানান, গত কাল কাটিহার ডিভিশানে উত্তর সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের ডাকা রেল সংক্রান্ত বৈঠকে কাটিহার ডিভিশানের মধ্যেকার আট সাংসদের সাথে রেল পরিসেবা সংক্রান্ত আলোচনা হয়। সেখানেই তেভাগা লিংক এক্সপ্রেস চালু করার ব্যাপারে তীব্র বিরোধিতা করেন বালুরঘাটের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। অন্যদিকে, রায়গঞ্জের সাংসদ মহম্মদ সেলিমের প্রতিনিধি যখন রাধিকাপুর কলকাতা তেভাগা লিংক এক্সপ্রেস কবে থেকে চালু করা হবে তা জানতে চান তখন ট্রেন চালু করার ব্যাপারে তীব্র বিরোধিতা করতে থাকেন বালুরঘাটের তৃণমূল সাংসদ। তার মতে একলাখিতে যে কোচ সংযোজন ও বিয়োজনের কথা বলা হচ্ছে তাতে ট্রেনের সময়ের সমস্যা হবে। আনয়ারুল বাবু আরো জানান, এদিনের বৈঠকে রায়গঞ্জের সাংসদকে দেওয়া আগেকার সমস্ত লিখিত প্রতিশ্রুতি ভুলে গিয়ে জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায়ও অর্পিতাদেবীর কথাকে মান্যতা দিয়ে তেভাগা লিঙ্ক চালু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে আচমকাই আরো সমস্যার মুখে তেভাগা লিঙ্ক এক্সপ্রেসের ভবিষ্যৎ। এই অবস্থায় রেল দপ্তরকে তিনি পার্টির পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিগত দিনে জেলা বাসির দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে ট্রেনের দাবীতে পার্টির পক্ষ থেকে রেল অবরোধের কর্মসূচি নেওয়া হয়ে ছিলো। পনেরো দিনের মধ্যে রেল দপ্তর যদি দিনের ট্রেনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত না দিতে পারে তাহলে আগামী দিনে ডালখোলা স্টেশনকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।
ছবি: পার্থ চ্যাটার্জি (টি.এন.আই)