ধুপগুড়িতে অন্ধকার, ট্রাফিক সচল রাখতে অনিরাপদ দাঁড়িয়ে ট্রাফিক কর্মীরা
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ধূপগুড়ি, ২৮শে জুন, ২০১৮: শহরের উন্নয়নের স্বার্থে শহরের প্রানকেন্দ্র অন্ধকার। আর তারই মাঝে ট্রাফিক কে সচল রাখতে অনিরাপদ অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। ধুপগুড়ি শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সার্ক রোড সম্প্রসারনের কাজ করতে গিয়ে শহরে প্রানকেন্দ্র চৌপথি এলাকায় থাকা হনুমান এবং মনসা মন্দির স্থানান্তর করা হয়েছে।কেবল রয়ে গিয়েছে ট্রাফিকের পোস্ট। মন্দির স্থানান্তর হলেও এই কয়েক দিন থেকে হাই-মাস্ট পথ বাতি ছিল চৌমাথা এলাকায়। কিন্তু সেখানে কাজের স্বার্থে বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলে ফেলা হয় এই পথ বাতিকে। যার ফলে সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকার হয়ে পড়ে এলাকা। শহরের মুল কেন্দ্র, যাকে ছুয়ে গিয়েছে ৩১ নং জাতীয় সড়ক এবং সার্ক রোড। যার ফলে দিন ভর এই চৌপথি দিয়ে চলাচল করে প্রায় লক্ষাধিক যান বাহন। জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে ধুপগুড়ি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন শহর এবং ব্লক শহর হওয়ায় পথ চলতি মানুষের চলাচল ও কিন্তু এই চৌপথিতে কম নয়। তাই পথ বাতি না থাকলেও দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক কর্মীদের দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করতে হচ্ছে। তবে আলো ছাড়া ডিউটি করতে গিয়ে তাদেরকে দাড়াতে হচ্ছে অনিরাপদ অবস্থায়। এই মুহুর্তে প্রতিদিন সন্ধ্যায় চৌপথি এলাকায় কর্তব্যরত থাকে পুলিশ, হোমগার্ড এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার মিলে মোট আট জন। বৃহস্পতিবার হাই মাস্ট লাইট খুলে ফেলার পর বিভিন্ন সমস্যাকে সঙ্গী করে সিগন্যালে কাজ করে চলেছেন তারা। পথ চলতি সাধারন মানুষকেও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে অন্ধকারের জন্য। রাস্তা পারাপারে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।বাধ্য হয়ে ট্রাফিক কর্মীরা ফ্লসিন জ্যাকেট,হ্যান্ড সিগন্যাল ব্যবহার করতে হচ্ছে।তবে এবিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এবিষয়ে তারা মুখ খুলতে নারাজ বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
ছবি: সুপ্রিয় বসাক (টি.এন.আই)