জলমগ্ন ধুপগুড়ি: বেহাল অবস্থার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ধুপগুড়ি, ২৪ই জুন, ২০১৮: রাত ভর বৃষ্টিতে গ্রামের পর এবার জলমগ্ন শহর।বেহাল অবস্থার প্রতিবাদে জাতীয় সড়কে উঠে এসে প্রতিবাদে পথ অবরোধ করল স্থানীয়রা। শনিবার রাত ভর বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি পুরসভার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। পুরসভার ৪, ১৩, ১৫, ১৬ নং ওয়ার্ড বেশি প্লাবিত হয়। ধুপগুড়ি শহরের ১৫ এবং ১৬ নং ওয়ার্ডের প্লাবনের মাত্রা এতটাই বেশি যে এক কোমড় জল পেরিয়ে মানুষকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র যেতে হচ্ছে। বাড়িতে রান্না করবার বা খাওয়ার উপায় নেই।বেহাল এই অবস্থার জেরে এদিন সকাল ১০.৩০ টা নাগাদ এলাকার মানুষেরা ঘর ছেড়ে ৩১ নং জাতীয় সড়কে উঠে আসে। বিক্ষুব্ধ মানুষ জাতীয় সড়কে শুরু করে অবরোধ। ঘটনার খবরবপেয়ে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলে প্রথম পর্যায়ে ব্যার্থ হয়। পরে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অবরোধের ঘটনাস্থলে পৌছে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে শনিবার রাতের বৃষ্টিতে প্লাবনের জেরে মানুষকে রাতেই ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়।
ধুপগুড়ি শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া কুমলাই এবং বামনী নদীর তীরবর্তী এলাকার বাড়ি ঘর গুলিতে জল ঢুকে যায়। জলস্ফীতির জেরে ঘরের মাঝ বরাবর জল বইতে শুরু করে। ধুপগুড়ি শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের ভক্ত সরকার, অসিত সরকারের পরিবারের লোকজনকে বাধের উপর অস্থায়ী ভাবে আশ্রয় নিতে হয়েছে। ১৫ নং ওয়ার্ডের গোবিন্দ পল্লী এবং ১৬ নং ওয়ার্ডের জোড়া ব্রিজ এলাকায় কুমলাই নদীর জল ঢুকে পড়ে। ১৫ নং ওয়ার্ডের একটি বিরাট এলাকা প্রায় ৪ ফুট জলের নীচে জলের দাঁড়িয়ে যায়।খবর পেয়ে ধুপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং স্থানীয় কাউন্সিলারদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৬ নং ও ১৫ নং ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে যৌথ ভাবে প্লাবিত এলাকার মানুষদের জন্য খাওয়ারের ব্যবস্থা করা হয়। এদিন বেলা ৩ টা পর্যন্ত জলস্তর কমলেও জল পুরোপুরি নামেনি। ১৫ নং ওয়ার্ডের বেবি দাস, মামনী দাস, বন্দনা ভদ্ররা বলেন, গত বছর থেকে বর্ষার সময় এই এলাকার মানুষকে এই হয়রানীর শিকার হতে হয়। এলাকার একটি কালভার্ট বন্ধ রয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে পুরসভাকে জানালে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যার জন্য এই কষ্ট। অনেক বাড়িতেই অসুস্থ রোগী রয়েছে এবং বাচ্চা রয়েছে যাদের সকাল থেকে মুখে খাবারটুকু দিতে পারিনি।
ছবি: সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই)